1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দশভূজা’ নারী

৩০ নভেম্বর ২০১১

নারী যে পেশাতেই যাক না কেন, তার মধুরতা সেখানে নিয়ে আসে এক নমনীয়তার ছোঁয়া৷ বিশ্বাস করেন সুসেতা চক্রবর্তী৷ উত্তর চল্লিশ এই নারী এক নামজাদা সংবাদমাধ্যমের ব্যবসায়িক লেনদেনের বিভাগে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন৷

https://p.dw.com/p/13JME
Grafik Presseschau Logos indischer Zeitungen: The Pioneer, The Hindu, The Telegraph, The Times of India
গণমাধ্যম জগতে নারীদের পদচারণার অন্যতম দৃষ্টান্ত সুসেতা চক্রবর্তী

সুসেতা চক্রবর্তী৷ কিছুটা কাশ্মীরি, কিছুটা বাঙালিয়ানা, এই দুইয়ে মিলেমিশে রয়েছেন তিনি৷ বিশ্বাস করেন কাজের সম্পূর্ণতায়৷ এবং সেইসঙ্গে মনে করেন, মেয়েরা যে কাজই করুক না কেন, তার মধ্যে কোথাও যেন তারা মিশিয়ে দেয় এক মধুরতা, যে মধুরতা চারপাশের সবকিছুকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে৷

টাইমস অফ ইন্ডিয়া সংবাদপত্রে কাজ করেন সুসেতা৷ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের লেনদেন সংক্রান্ত কাজকর্ম সামলাতে হয় তাঁকে৷ এই কাজের ক্ষেত্রে মহিলা হিসেবে আলাদা সুবিধা পাওয়া যায় বলে দাবি করলেন সুসেতা৷ তাঁর বক্তব্য, মহিলা হয়ে কাজ করতে গিয়ে কোনরকম অসুবিধে তো নয়ই, বরং কিছু সুবিধাই পেয়েছেন তিনি৷ কীরকম সুবিধা? সুসেতার উত্তর, মহিলা হওয়ার সুবাদে মানুষ হিসেবে যে সহৃদয়তা থাকে, তাতে অন্যের সঙ্গে সুব্যবহারের মাধ্যমে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্য ধরণের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারা যায়৷ যাকিনা একজন পুরুষের ক্ষেত্রে সবসময়ে সম্ভবপর নাও হতে পারে৷ আন্তরিকতা আর স্বাচ্ছন্দ্যের দিক থেকে একজন মহিলা অনেকটা এগিয়েই থাকেন৷ আর একারণেই বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে সুসেতার বিশ্বাস, মহিলারা অনেক বেশি সফল হন এবং সহজেই হয়ে থাকেন৷

Presseschau indische Tageszeitungen Berichterstattung nach der Terrorserie in Bombay Zeitungen Foto: DW/ Anwar J. Ashraf
ফাইল ছবিছবি: DW/Ashraf

নিজের মায়ের পরিবারের দিক থেকে কাশ্মীরের সঙ্গে সম্পর্কিত সুসেতার পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা সবই কলকাতায়৷ নিজেকে পুরোদস্তুর বাঙালি ভাবতেই ভালোবাসেন তিনি৷ তাঁর কথাবার্তার মধ্যে সেই বাঙালিয়ানার ছাপ স্পষ্ট ধরা পড়ে৷ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক হওয়া সুসেতা এক সময়ে নাচের দিকেও মনোযোগী ছিলেন দীর্ঘদিন৷ তবে দ্রুত বিয়ে এবং পরপর দুই সন্তানের জন্ম দেওয়ায় পেশার জগত থেকে তাঁকে সরে থাকতে হয়ে বেশ অনেকদিন পর্যন্ত৷ পরে তিনি পেশায় ফিরে আসেন যখন সন্তানরা একটু বড় হয়েছে তখনই৷ গত পনেরো বছর ধরে তিনি এই পেশায় রয়েছেন এবং সাফল্যের সঙ্গেই রয়েছেন৷

ভারতের মতো দেশে মেয়েদের কি একটা সংগ্রাম করেই এগোতে হয়? এর জবাবে সুসেতা জানান, মেয়েদের নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হয় ঘরে ও বাইরে৷ দুই জায়গায় এই লড়াই আসলে এক অন্য ধাঁচের সংগ্রামের নামান্তর বলেই তাঁর বিশ্বাস৷ একটা প্রচলিত কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেয়েরা তো ঘরে বাইরে দশভূজা৷ আজকের বিপণন জগতে একথাটা খুব চালু কথা, বলেন সুসেতা৷ বাইরের কাজ করেই নিস্তার মেলেনা কোন মেয়ের৷ তার কাছে পরিবারের প্রত্যাশা তারপরেও অনেকখানি থেকে যায়৷ সুসেতা নিজের কথা বলতে গিয়ে জানান, তাঁর স্বামী চাকরিসূত্রে প্রবাসে থাকেন৷ সেক্ষেত্রে তাঁকে নিজের সন্তানদের বড় করে তোলা আর ঘর সামলানোর পাশাপাশি কাজ করে যেতে হয়েছে পুরো সময়টাই৷ তাতে কাজে লেগেছে ওই দশভূজা হওয়ার অভ্যাস৷ সুসেতার কথায়, কবে যেন তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি একদিন৷ এখন আর তা মনেও পড়ে না৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান