1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্ল্যামার ছাড়া কি অলিম্পিক চলে?

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ক্যানাডার ভ্যাঙ্কুভারে বরফে ঢাকা স্কি খেলার ঢালগুলোর দিকে গেলেও বলতে হয়, গ্ল্যামার ছাড়া শীতকালীন অলিম্পিকও পার পায় না৷ শুধু বিভিন্ন দৌড়ের ফলাফল আর মেডেলের তালিকা দিয়ে কি মন ভরে?

https://p.dw.com/p/M7Qa
মহিলাদের ডাউনহিলে লিন্ডসে ভনছবি: picture-alliance/ dpa

গ্ল্যামার কা'কে বলে এবং সেটা কোথা থেকে আসে, তা' বলা মুশকিল৷ যেমন ভ্যাঙ্কুভার অলিম্পিক্সে এবার হুইসলার ব্ল্যাককোম্বে মেয়েদের এ্যালপাইন দৌড়গুলো যেভাবে মানুষের কল্পনাকে নাড়া দিয়েছে এবং কাগজের শীর্ষক জুড়ে থেকেছে, তা' অভাবনীয়৷ একে তো বড় বড় সানগ্লাস, ফারের কলার দেওয়া দামী পার্কা আর আজগুবি সব টুপি পরা এই ‘স্পীড কুইন'-রা এমনিতেই চোখে পড়ার মতো৷ তায় আবার তারা যখন পাহাড়ের ঢালে গুঁড়ো বরফের ওপর দিয়ে ঘন পাইন বনের ভেতর দিয়ে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার কি তার বেশী অবিশ্বাস্য গতিতে উড়ে যান, তখন দর্শকদের একসঙ্গে হৃৎকম্প এবং রোমাঞ্চ, দুই'ই হয় - বিশেষ করে যারা টেলিভিশনের পর্দায় দেখেন৷ কাজেই শনিবার মহিলাদের সুপার-জি'তে যুক্তরাষ্ট্রের লিন্ডসে ভন যখন ঐ ২,০০৫ মিটারের কোর্সটি শেষ করলেন মাত্র ৮০ সেকেন্ডে, তার পর পরই আরো ০.৭৪ সেকেন্ড কম সময় নিয়ে নীচে পৌঁছলেন অস্ট্রিয়ার আন্দ্রেয়া ফিশবাখার, এবং এদের ঠিক পরেই আসল সোনাটি ছিনিয়ে নিলেন স্লোভেনিয়ার টিনা মাৎসে - তখন হুইসলারের ঐ রৌদ্র ঝলমল, সাদা বরফ, সবুজ বন আর নীল আকাশের তিনরঙা পিকচার পোস্টাকার্ড দিনটি যেন বলে উঠল: ‘সাবাস!'

ফিগার স্কেটিং-এর ডায়ানা

অথবা ধরা যাক দক্ষিণ কোরিয়ার কিশোরী কিম য়ু-না'র কথা, যার এবার মহিলাদের ফিগার স্কেটিং-এ সোনা জেতার ভালো সম্ভাবনা আছে৷ নিজের দেশে কিমের জনপ্রিয়তা কিংবদন্তীপ্রতিম৷ কিন্তু ভ্যাঙ্কুভারে পৌঁছিয়েও যখন দেখা গেল যে ৩০০ রিপোর্টার তাকে ছেঁকে ধরেছে, তখন কিমের কোচ ব্রায়ান অর্সার বলে ফেললেন: ‘‘এ' যেন প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে সফর করা!'' তাই বোধহয় কিম'কে অলিম্পিক ভিলেজে না রেখে ভ্যাঙ্কুভারের একটি অজ্ঞাত হোটেলে রাখা হয়েছে, যার নামঠিকানাটি পর্যন্ত টপ সিক্রেট!

বললাম না, গ্ল্যামার ছাড়া কি অলিম্পিক চলে?

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই