বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘সরকারের দুঃশাসনের কারণে বিএনপি নেতারা আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন৷'' ডয়চে ভেলে বাংলার ফেসবুক পাতায় পোস্ট করা এই মন্তব্যের পক্ষে, বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক পাঠক৷
মাইনুদ্দীন চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘বিএনপি নেতারা দুঃশাসন করে গেছেন, তাই দুঃশাসন কাকে বলে ওনারা তা জানেন৷ কথায় আছে, একটি গাছ এক জায়গা থেকে উঠে গিয়ে আরেক জায়গায় দাঁড়িয়েছে এটা বিশ্বাস করো, কিন্তু খারাপ মানুষ ভাল হইছে এটা বিশ্বাস করো না৷ বিষাক্ত সাপকে বিশ্বাস করা যায় যে এটা কামড় দিবে না, কিন্তু এদের (বিএনপি নেতাদের) বিশ্বাস করা যায় না যে এরা ক্ষতি করবে না৷''
রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘গ্রেফতার আতঙ্কের কারণেই বিএনপি নেতারা গা ডাকা দিয়েছেন৷ আর বিচার ব্যবস্থার এমন তামাশা বিশ্বের কোথাও নেই৷ মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে বলছেন, বিরোধী দল সমঝোতায় আসলে তাদের শীর্ষ নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হবে৷ এই সব কথা থেকে প্রমাণ হয় বিচার বিভাগ ক্ষমতাসীন দলের অধীনস্ত ও সরকারের আদালতে পরিণত হয়েছে৷ গণতন্ত্র ও আইনের শাসন একটি স্বাধীন জাতির প্রাণশক্তি, কিন্তু আজ দেশে চলছে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন আর আইনের শাসনের নামে অনাচার৷'' তাঁর প্রশ্ন, এই অবস্থায় বিরোধী দলের নেতারা আত্মগোপন ছাড়া আর কি করতে পারে?
‘বিএনপির নেতারা কর্মীদের মাঠে নামতে বলে হাতে বোমা তুলে দিয়ে সাধারণ মানুষ মারার নির্দেশনা দিয়ে নিজেরা জেলে যাওয়ার ভয়ে লুকিয়ে থাকে‘
শওকত আলম লিখেছেন, ‘‘নেতা মানে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন, জেল এর তোয়াক্কা করবেন না৷ কিন্তু বিএনপির নেতারা কর্মীদের মাঠে নামতে বলে হাতে বোমা তুলে দিয়ে সাধারণ মানুষ মারার নির্দেশনা দিয়ে নিজেরা জেলে যাওয়ার ভয়ে লুকিয়ে থাকে৷ এই নেতারাই বিএনপিকে ডোবাবে৷''
জানিপপ-এর প্রধান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ মনে করেন, ‘‘কোনো নির্বাচন না হওয়ার চেয়ে, নির্বাচন হওয়া ভাল৷ তা যদি একপাক্ষিকও হয় তাহলেও সেটা পরবর্তীতে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য একটি সুযোগ রাখে৷''
এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘একপাক্ষিক নির্বাচন সমগ্র জাতিকে দীর্ঘমেয়াদী সংঘাতের মুখে ঠেলে দিবে৷ গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত পরম সহিষ্ণুতা ও রাজনৈতিক সহনশীলতা – এ দুটির কোনোটিই এখন দেশে নেই৷ একতরফা নির্বাচন হলে দেশ সাংবিধানিক স্বৈরাচারের কবলে পড়বে এটা নিশ্চিত৷''
সংকলনঃ অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনাঃ জাহিদুল হক