1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অন্তর্বর্তী সমাধান

১৯ মার্চ ২০১০

গোর্খাল্যান্ড প্রশ্নে বৃহস্পতিবার নতুনদিল্লিতে রাজনৈতিক স্তরে যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়. তা ইতিবাচক হয়েছে বলে ডয়েচে ভেলেকে জানান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রতিনিধিদলের নেতা রোশন গিরি৷

https://p.dw.com/p/MWTp
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মাকেন সরকারের পক্ষে অংশ নেনছবি: UNI

রোশন গিরি বলেন, অন্তর্বর্তি সমাধান হিসেবে কেন্দ্র ও পঃবঙ্গ সরকার মোর্চার খসড়া প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন৷

বৃহস্পতিবার নতুনদিল্লিতে মন্ত্রী পর্যায়ের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর গোর্খাল্যান্ড জনমুক্তি মোর্চা প্রতিনিধি দলের নেতা রোশন গিরি ডয়েচে ভেলেকে একান্ত সাক্ষাত্কারে বলেন, রাজনৈতিক স্তরে এই প্রথম ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে৷ ফল ইতিবাচক৷ পৃথক গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবিতে আমরা অবিচল৷ তবে মোর্চার খসড়া প্রস্তাব মেনে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে গঠিত হবে গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ৷ বহাল থাকবে ২০১১ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত৷ এর আঞ্চলিক সীমা কী হবে , ক্ষমতার এখতিয়ার কতটা হবে তা নিয়ে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র ও পশ্চিম বঙ্গ সরকার৷

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যোগ দেন,কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মাকেন,পশ্চিম বঙ্গের পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, স্বাস্থ মন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র এবং রোশন গিরির নেতৃত্বে ৮-সদস্যের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ৷ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব,পঃবঙ্গের মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব৷

পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠনে এতো মরিয়া কেন --- এর উত্তরে গোর্খাল্যান্ড জনমুক্তি মোর্চার মহিলা শাখার সভানেত্রী ও মোর্চার সুপ্রিম কমান্ডার বিমল গুরুং-এর পত্নি আশা গুরুং ডয়েচে ভেলেকে বলেন, আত্মপরিচয়ের সঙ্কটে ভুগছি আমরা৷ নেপালি তকমা দিয়ে আমাদের বিদেশি বলে গণ্য করা হয়৷ নানা ধরণের শোষণের শিকার হতে হয় আমাদের৷ অথচ এদেশের আর পাঁচজনের মত গোর্খারা ১০০ শতাংশ ভারতীয়৷ দেশের সুরক্ষায় প্রাণপাত করছে অবিরাম৷

উল্লেখ্য, ভারতে আছে দুই শ্রেণীর গোর্খা৷ এক, যারা বংশপরাম্পরায় ভারতবাসী ৷ দুই, যারা ১৯৫০ সালের ভারত-নেপাল ছুক্তির ফলে নেপাল থেকে এসেছে৷ ঐ চুক্তি ফলে নেপালিরা বিনা পাশপোর্ট ভিসায় ভারতে আসতে, কাজ করতে এবং থাকতে পারে বৈধভাবে৷ ভারতীয় গোর্খাদের ভাষা,সংস্কৃতি,রীতিনীতি, জীবন যাত্রা, পোষাক পরিচ্ছদ সব কিছু আলাদা হওয়া সত্বেও ভারতে তাদের পৃথক রাজ্য নেই৷ অথচ নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মনিপুর ,ঝাড়খন্ড, আসাম থেকে নিয়ে প্রত্যেক জাতির জন্য আলাদা রাজ্য থাকলে গোর্খাদের নেই৷ গোর্খাদের জাতি সত্তার সংঙ্কট, আত্মপরিচয়ের সংঙ্কটই টেনে এনেছে আন্দোলনের পথে৷

প্রতিবেদকঃ অনিল চট্টচোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনাঃ সাগর সরওয়ার