গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি করা উচিত: জিয়াউদ্দিন
৬ অক্টোবর ২০১১মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি কার্যকর করা হয়৷ দণ্ডিত আব্দুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবোয়েতে মারা গেছেন৷ এম রাশেদ চৌধুরী এবং এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ছাড়া আরও ৭ জন পলাতক রয়েছেন৷ তাদের মধ্যে আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেমউদ্দিন ও আব্দুল মাজেদও পালিয়ে বিদেশে আছেন৷ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের পরোয়ানা জারি করা হয়েছে৷
ক্যানাডার সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় সেদেশের সরকারকে এক্ষেত্রে বন্দি ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ সেদেশে বসবাসরত কোনো বিদেশি যদি গুরুতর কোনো অপরাধ করে থাকে, তাদের ফেরত পাঠানোর পথ রয়েছে৷ তবে মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা থাকলে অনেক সময় আদালত বন্দিদের ফেরত পাঠানোর পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে৷ অভিযুক্তরাও আইনের সাহায্য নিয়ে প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ ও জটিল করতে পারে৷
আহমেদ জিয়াউদ্দিন মনে করেন, যেসব দেশে বাংলাদেশি অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করা উচিত৷ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, অ্যামেরিকা, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে এমন চুক্তির চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সুবিধা হবে বলে তিনি মনে করেন৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ