1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুজরাটে গণহত্যার বিচার

৩১ আগস্ট ২০১২

২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যের গোধরা কাণ্ডের পরে নারোদা পাটিয়া সাম্প্রদায়িক গণহত্যায় দোষী সাব্যস্ত ৩১ জনের শাস্তি ঘোষণা করা হলো৷ আজ আহমেদাবাদের এক বিশেষ আদালত দুজন মূল আসামিকে দিয়েছে যাবজ্জীবন৷

https://p.dw.com/p/161W6
ছবি: AP

১০ বছর আগে গুজরাটে, গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গায় দোষী সাব্যস্ত ৩১ জনের শাস্তি ঘোষণা করলো আজ আহমেদাবাদের এক বিশেষ আদালত৷ মূল অপরাধী হিন্দুত্ববাদী বজরং দলের নেতা বাবু বজরঙ্গিকে দেয়া হয় আজীবন কারাবাস এবং মোদি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং নারোদা-পাটিয়া এলাকার বর্তমান বিজেপি বিধায়ক মায়া কোডনানিকে দেয়া হয়, ভারতীয় দণ্ডবিধির এক ধারায় ১০ বছর এবং অন্য ধারায় ১৮ বছর মোট ২৮ বছর কারাবাসের আদেশ৷ অবশিষ্টদের দেয়া হয় ১৪ বছর থেকে ২১ বছর কারাদণ্ড৷ আদালত গণধর্ষণের শিকার এক মহিলাকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে মোদি সরকারকে৷ সংবাদ মাধ্যমের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পক্ষের আইনজীবী একথা জানান৷ তাঁর মতে, আসামিরা মৃত্যুদণ্ড পাবার যোগ্য৷

10 Jahre Pogrome in Gujarat
গোধরার কাছে হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডবছবি: AP

এই রায়ে নিহতদের আপনজনেরা খুশি ব্যক্ত করেন৷ বলেন, ‘‘রায় দেরিতে ১০ বছর পরে এলেও আমাদের খুব ভাল লাগছে৷ ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি৷ প্রতিটি দিন আমাদের কেটেছে অসহ্য মানসিক যন্ত্রণায়৷ যেভাবে ওরা আমাদের আপনজনকে মেরেছে, খুন করেছে জ্বালিয়েছে৷ আজ ওদের আত্মা শান্তি পাবে৷''

২০০২ সালে সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগানোর ঘটনার প্রতিবাদে হরতাল ডেকেছিল হিন্দুত্ববাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল৷

আহমেদাবাদের নিম্নবিত্ত সংখ্যালঘু এলাকা নারোদা-পাটিয়ায় বন্ধ-সমর্থকরা দাহ্য পদার্থ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়৷ মারা যায় ৯৭ জন৷ তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ নারী ও শিশু৷ বিশেষ আদালতের রায়ে ৩২ জন দোষী সাব্যস্ত হন৷ তাঁদের মধ্যে একজন বিচার চলাকালীন মারা যায়৷ ২৯জন বেকসুর খালাস পান৷

কেন্দ্রীয় সরকারের আইনমন্ত্রী সলমান খুরশীদের মন্তব্য, দেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে৷ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং মনে করেন, গুজরাট দাঙ্গায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা যে জড়িত ছিলেন, সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল৷ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোন মন্তব্য করেননি৷ চারটি রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোট এবং ২০১৪ সালে সাধারণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস চাইছে না নতুন করে কোন ধর্মীয় মেরুকরণ হোক৷ তাতে হয়ত মোদির সুবিধা হতে পারে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য