1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাইবান্ধায় ৭ জেএমবি এহসার গ্রেফতার

হাসিবুর রহমান বিলু, বগুড়া২৫ ডিসেম্বর ২০০৮

পুলিশের পৃথক অভিযানে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও ৫০টি গ্রেনেডের কভারসহ জামাআ'তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর আরও ৭ জন সার্বক্ষণিক কর্মী (এহসার) গ্রেফতার হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/GN11
শীর্ষ নেতার ফাঁসি হলেও আবারও সক্রিয় হবার চেষ্টা করছে জেএমবি (ফাইল ফটো)ছবি: DW

কিছুদিন আগেও এ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন জেএমবি কর্মীকে৷

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম মনিরুজ্জামান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেলফোনে জানান, গোপন সূত্রে খবর পাবার পর বুধবার রাতে পুলিশ ওই জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকশিবপুর এলাকা থেকে মঞ্জুরুল ইসলাম ও কচুয়াশিবপুর এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রেফতার করে আঞ্চলিক কমান্ডার রেজাউল করিম রেজু ওরফে হাসান ওরফে সিহাবকে গ্রেফতার করে৷

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসপি এসএমমনিরুজ্জামান জানান, বুধবার দিনের বিভিন্ন সময় গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও যাদের গ্রেফতার করা হয় তারা হলো, মোস্তাফিজুর রহমান, নান্নু, রওশন ও আমজাদ হোসেন৷

গাইবান্ধা পুলিশ এদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেনেড তৈরির জন্য রাখা ৫০টি গ্রেনেডের কভার ও বিপুল পরিমান বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে৷ এসপি জানান উদ্ধার করা গ্রেনেড দিয়ে কয়েকশ গ্রেনেড তৈরির পরিকল্পনা ছিল জেএমবি কর্মীদের৷

কেন জেএমবি কর্মীরা এসব তাদের কাছে মজুদ করে রেখেছিল এ প্রশ্নের জবাবে এসপি এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, এরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোন হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ এ প্রস্তুতি আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ছিল কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বা এ সম্পর্কে কোন তথ্যও তারা পুলিশকে দিচ্ছে না, তবে সে তথ্য বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷