1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দূষণমুক্ত নদী

১৫ মে ২০১২

গঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করতে এবং গঙ্গার জলপ্রবাহ অব্যাহত রাখার দাবিতে দলমত নির্বিশেষে প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে জরুরি ব্যবস্থা নিতে বলেন সাংসদরা৷ তা নাহলে পরিবেশবাদীরা ২০শে মে থেকে গঙ্গা বাঁচাও গণআন্দোলন শুরু করবে৷

https://p.dw.com/p/14vre
ছবি: UNI

সংসদে গঙ্গা বাঁচাও বিতর্কের অবতারণা করে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ গঙ্গার ওপর মানুষের গড়া সব বাঁধ ভেঙে ফেলার দাবি জানান৷ আর এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তিনি৷ কারণ, গঙ্গা শুধুমাত্র একটা নদী নয়, ভারতের জীবনরেখা, ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ তাই তিনি হুঁশিয়ার করে দেন, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গঙ্গার উজানে হিমালয় অঞ্চলে নির্মিত বাঁধ মারাত্মক ধ্বংসলীলা ডেকে আনবে৷

সমাজবাদী পার্টির বক্তব্যকে সমর্থন করে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, পরিকল্পনা ছাড়া উন্নয়নের ফলে গঙ্গা দূষিত জলের এক নর্দমায় পরিণত হয়েছে৷ গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান এবং যমুনা অ্যাকশন প্ল্যান হাতে নেয়া সত্ত্বেও এ দুটি নদীর দূষণমাত্রা কমেনি৷ কংগ্রেস সাংসদরা গঙ্গার দূষণে গভীর চিন্তা ব্যক্ত করেন৷

সংযুক্ত জনতাদল সাংসদ গঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করতে পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর জোর দেন৷ বিরোধীদলের বেশিরভাগ সাংসদ নির্বিচারে গঙ্গার অপব্যবহারে পরিবেশমন্ত্রী তথা সরকারের উদাসীনতার তীব্র সমালোচনা করেন৷ তাঁদের মতে, পরিবেশমন্ত্রী রাজ্যগুলির ওপর দোষ চাপিয়ে নিজের দোষ স্খলন করেন৷

অন্যদিকে, ম্যাগসেসে পুরস্কার বিজেতা ওয়াটারম্যান বলে পরিচিত রাজেন্দ্র সিং-এর নেতৃত্বে পরিবেশবাদীরা আগামী ২০শে মে থেকে দেশ জুড়ে গঙ্গা মুক্তি সংগ্রাম নামে গণআন্দোলন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে৷ রাজেন্দ্র সিং গঙ্গার এই দশার জন্য দায়ী করেন কেন্দ্রকে৷

নদী বিশেষজ্ঞদের মতে, গঙ্গার গতিপথে যথেচ্ছ নির্মাণের ফলে ভূমিধ্বস বাড়ছে৷ গঙ্গার নাব্যতা কমে যাচ্ছে৷ গঙ্গার উপকূলের কলকারখানা থেকে দূষিত জল ও বর্জ পদার্থ নদীতে এসে পড়ছে৷ নগরায়ণ সম্প্রসারিত হওয়ায় শহরের নোংরা জল পড়ছে নদীতে৷ এর প্রতিকারে দরকার জল শোধনাগার এবং সেইসঙ্গে অপরিশোধিত জল নদীতে ফেলা নিষিদ্ধ করা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য