গঙ্গার সাথে লবণাক্ত পানি মিশে যাওয়ার আশংকা
৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ভারতের ন্যাশনাল কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটির পূর্ব ভারতীয় প্রতিনিধি প্রণবেস স্যানাল বলেন, কোলকাতা নগরীতে অবস্থিত পূর্ব ভারতীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ফলাফলে প্রকাশ করা হয়েছে যে, গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের অভাবনীয় বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ স্যানাল বলেন, এ অবস্থাকে বলা হয় লবণাক্ততার বিস্তৃতি এবং এটা কোলকাতার ভূগর্ভস্থ পানিকে লবণাক্ত করে ফেলবে৷ পরিণামে কোলকাতা ও এর আশপাশের গ্রামীণ এলাকার কৃষি জমিকে অনুর্বর করে ফেলবে৷
সারা পৃথিবী জুড়ে সমুদ্র পৃষ্ঠের গড় বৃদ্ধি যেখানে বছরে ২ মিলি মিটার, সেখানে বঙ্গোপসাগরের কিছু কিছু জায়গায় পানি বাড়ছে বছরে ৩.১৪ মিলিমিটার হারে যা পূর্বভারতের নীচু অঞ্চলসমূহের জন্য বেশ বড় হুমকি স্বরূপ৷
গত বছর জলবায়ু বিশারদরা আশংকা প্রকাশ করেছিলেন যে, তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে তাতে ভারত উপ-মহাদেশে বন্যা, ঝড়, রোগ-বালাই ও ক্ষুধাসহ আরও বেশী প্রাকৃতিক দুর্যোগ মারাত্নকভাবে আঘাত হানবে৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের গবেষক দল এবং স্যানাল জানান, পূর্ব ভারতের বৃহত্তম নগরী কোলকাতায় গঙ্গা নদীর উপকূলবর্তী এলাকায় তাঁরা ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ দেখতে পেয়েছেন যা খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা৷ তারা বলেন, কোলকাতায় নদীর তীরে ম্যানগ্রোভ বৃক্ষের বেড়ে ওঠার ঘটনায় আমরা খুব আশ্চর্য হয়েছি এবং এটা বেশ উদ্বেগ জনক৷
এখান থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম ব-দ্বীপের ২৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সুন্দরবনের জলাময় এলাকায় সাধারণত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা যায়৷
গবেষক দল বলছে, সমুদ্রসীমা কোলকাতার উত্তরাঞ্চলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেছে৷
তিনি বলেন, আমরা আশংকা করছি যে, সাড়ে ছয় হাজার বছর আগে যা ঘটেছিল তা আবার ঘটতে পারে এবং আমরা ইতিমধ্যে গঙ্গার পানিতে লবণাক্ত পানির মাছ দেখতে পেয়েছি৷
পশ্চিম বঙ্গের রাজধানী কোলকাতার পরিবেশ দপ্তরের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এম এল মিনা অবশ্য বলছেন, আমরা মনে করি না যে, এখুনি খুব বেশি উদ্বেগের কিছু আছে৷