1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খেলাধুলায় উচ্চশিক্ষা

২৫ জুন ২০১২

পড়াশোনা এবং খেলাধুলা – ছাত্র জীবনে এই দুটোই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ৷ বেশিরভাগ মানুষেই তা মনে হবে৷ তবে একথা ঠিক যে, খেলাধুলা যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম৷

https://p.dw.com/p/15KmD
ছবি: DW

গাজা থেকে শুরু করে জাম্বিয়া এবং গুয়াতেমালা – সব জায়গাতেই দেখা যাবে জার্মান প্রশিক্ষকরা কাজ করছেন৷ এরা সবাই খেলাধুলা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে কাজ করছেন৷ এরা সকলেই হতে চেয়েছিলেন ‘পেশাগত স্পোর্টস ট্রেইনার'৷

অন্য আরেকটি দেশ এবং সংস্কৃতির সঙ্গে সেতুবন্ধনে খেলাধুলা হচ্ছে আদর্শ একটি মাধ্যম – কথাগুলো বললেন ক্রিস্টিনা বাপার্ট৷ এ বিষয়ে তিনি একেবারে একশভাগ নিশ্চিত৷ তিনি জানান, ‘‘আর ঠিক এ কারণেই আমি উন্নয়নশীলদেশগুলোতে স্পোর্টস ট্রেইনার হিসেবে কাজ করতে চাই৷''

উচ্চাকাঙ্খাকে বাস্তবায়িত করতে তিনি আফ্রিকায় তিন সপ্তাহের একটি ফুটবল প্রকল্পে কাজ করছেন৷ কোলন শহরের ডয়চে স্পর্টহোখশুল'এ তিনি স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য ব্যাচেলর কোর্স করেছেন৷ কোর্সে দু'টি সেমেস্টার ছিল ইন্টার্নশিপ৷ স্পোর্টস ট্রেইনার হিসেবে কাজ করার ক্ষমতা তাঁর আছে এবং বিদেশের মাটিতে তিনি নিশ্চিন্তে এবং আত্নবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন – এই প্রমাণ ক্রিস্টিনা বাপার্টকে দিতেও হয়েছে৷

Sportentwicklungshelfer Zertifikatstudium Sporthochschule Köln
স্পোর্টস ট্রেইনার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে শিক্ষার্থীরাছবি: DW/J.Krepela

প্রশিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা

জার্মান অলিম্পিক কমিটিতে কাজ করছেন ইয়োহানেস ক্রুসিয়াস৷ তিনি জানান, ‘‘অতি দ্রুত আমাদের স্পোর্টস ট্রেইনার প্রয়োজন৷ বিশেষ করে যারা বিদেশে ট্রেইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন৷'' আর ঠিক এ কারণেই জার্মান অলিম্পিক কমিটি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কোলনে খেলাধুলা বিষয়ে বিশেষ কোর্সের আয়োজন করেছে৷

ক্রুসিয়াস বলেন, ‘‘যারা কোর্সে ভর্তি হচ্ছেন তাদের শুধু খেলোয়াড় হলেই চলবে না, উন্নয়নশীল দেশগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণাও থাকতে হবে তাদের৷ আমরা সেভাবেই তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি৷ আর এ কারণেই অল্প বয়স্ক তরুণ-তরুণী আমাদের প্রথম পছন্দ৷ কারণ আমরা জানি, সফল হলে অত্যন্ত ভিন্ন মাত্রার একটি পেশায় তারা নিজেদের দক্ষ করতে সক্ষম হবেন৷ আর আমরাও লাভবান হবো, আমাদের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পারবো৷''

তবে বিভিন্ন কোর্সের জন্য বা বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণের জন্য সাধারণত ভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষক চাওয়া হয়ে থাকে৷ প্রকল্পের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা মিলবে কিনা, সেটা প্রথমে খতিয়ে দেখা হয়৷ ক্রুসিয়াস জানান, ‘‘শুরুতে তাদের শিশুদের সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়৷ যেমন দল গঠন করা, দল গঠনের সময় কোন কোন বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে, শিশুদের তা কীভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে৷ শিশুরা কাজ করলে কীভাবে একজন ট্রেইনার সাহায্য করতে পারেন, তা ট্রেইনারকে অবশ্যই জানতে হবে৷ এছাড়া, বিভিন্ন খেলধুলার নিয়ম-কানুন এবং কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে এবং খেলাটি শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে৷''

Sportentwicklungshelfer Zertifikatstudium Sporthochschule Köln
পড়াশোনা শেষে অনেকে উন্নয়নশীল বিশ্বে গিয়ে কাজ করছেনছবি: DW/J.Krepela

সৃজনশীলতা এবং চেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যাবে

গত পঞ্চাশ বছর ধরে জার্মান অলিম্পিক কমিটি এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় উন্নয়শীলদেশগুলোতে এ ধরণের প্রকল্প চালু করার চষ্টা করেছে৷ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলাধুলায় অংশগ্রহণের সময় কয়েকটি জিনিস দেখা হয়৷ যেমন ধরা যাক – গুয়াতেমালার অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন চাইছে স্কুলগুলোতে খেলাধুলার মান বাড়াতে৷ সেটা কীভাবে সম্ভব হবে? সে জন্য প্রয়োজন স্কুলে এমন প্রশিক্ষক যিনি খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত বা এ বিষয়ে যার স্পষ্ট জ্ঞান রয়েছে৷ শুধুমাত্র তাহলেই স্কুলগুলোতে খেলাধুলার মান বাড়ানো সম্ভব৷

গুয়াতেমালা প্রশিক্ষক চেয়ে পাঠালে, জার্মান অলিম্পিক কমিটি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দু'বছরের জন্য একজন প্রশিক্ষক পাঠাতে পারে সেখানে৷ এ ধরণেরই একটি প্রকল্পে কাজ করেছেন রাল্ফ মুচবাহানি৷ তিনি জানান, ‘‘এসব ক্ষেত্রে প্রশিক্ষককে অত্যন্ত সৃজনশীল হতে হয়৷''

গত দশ বছর ধরে রাল্ফ বিভিন্ন দেশে স্পোর্টস ট্রেইনার হিসেবে কাজ করছেন৷ কোলনের কোর্স শুরু করায় তাঁর অবদান অপরিসীম৷ হাসতে হাসতে তিনি বললেন, ‘‘এই কাজ ঠিক এভাবে করতে হবে, অন্য কোনোভাবে নয় – এধরণের বদ্ধমূল ধারণা থাকলে সেই প্রকল্প ব্যর্থ হতে বাধ্য৷ এর জন্য অনেক খোলামেলা হওয়া প্রয়োজন৷ প্রয়োজন স্থান, কাল, পাত্রের সঙ্গে নিজেকে এবং প্রকল্পকে মানিয়ে নেয়া৷''

অন্য সংস্কৃতিকে চেনা জানা

প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্য সংস্কৃতিকে চেনা-জানা, সম্মান দেখানো কত প্রয়োজন তা বেশ ভালো করেই জানেন ক্রিস্টিনে বাপার্ট৷ কোর্স শেষ করার পরই তিনি এক বছর কাটিয়েছেন বাংলাদেশে৷ সেখান থেকে তিনি অত্যন্ত ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন৷ শিখেছেন, জেনেছেন আরো অনেক কিছু৷ আর এর প্রতিটিই তিনি ব্যবহার করতে চান, প্রয়োগ করতে চান ভবিষ্যত প্রকল্পগুলোতে৷

প্রতিবেদন: ইয়েন্স ক্রেপেলা / এমজে

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য