দৈনিক ইনকিলাবের ছাপাখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে বার্তা সম্পাদকসহ তিন সাংবাদিককে৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এ নিয়ে অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন৷
আনোয়ারুল করিম রাজু লিখেছেন, ‘‘আমি একজন কূটনৈতিক প্রতিবেদক৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তাকেই আমি চিনি৷ এদের অনেক কাজের পরিধি সম্পর্কেও জানি৷ ইনকিলাবসহ ওই গোষ্ঠীটির দাবি করা চিঠিতে যারা সই করেছেন, তাদের এই ধরনের কাজে সই করার কথা নয়৷ আরও স্পষ্ট করে বললে সাউথ-ইস্ট এশিয়া অণুবিভাগের কোনো কর্মকর্তারই ভারত সম্পর্কিত চিঠিতে সই করার সুযোগই নেই৷ এই কারণেই বলা যায়, অত্যন্ত কাঁচাভাবে নকল চিঠি তৈরি করা হয়েছে৷ খুবই ঘৃণ্য কাজ৷ আর অনলাইনে যা-ই পাওয়া যায়, তা-ই ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করে ‘আমার দেশ' আগে যে নীতিবিরুদ্ধ কাজ করেছিল, এবার ইনকিলাবও একই অপরাধ করেছে৷ অন্তত সাংবাদিক হিসেবে আমি এটা বলতে পারি৷'
মোহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহ লিখেছেন, ‘‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস করে বন্ধ হলো ‘আমার দেশ'৷ হেফাজতের উপর বর্বরোচিত গণহত্যার কেলেঙ্কারি ফাঁস করে বন্ধ হলো ‘দিগন্ত, ইসলামিক টিভি৷' এবার, সাতক্ষীরায় ভারতীয় বাহিনীর তাণ্ডবের ফ্যাক্স কেলেঙ্কারি ফাঁস করে বন্ধ হলো ইনকিলাব৷''
সোয়েব উদ্দীন লিখেছেন, ‘‘এটা আর নতুন কি? যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাদের হয় মেরে ফেলবে, না হয় তাদের রাজাকার উপাধি দিবে৷''
মিজানুর রহমান খান লিখেছেন, ‘‘যারা হলুদ সাংবাদিক তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার কোনো কারণ নাই৷ সেটা সরকার বা বিরোধী দল যে পক্ষেরই হোক না কেন৷''
শেখ মেহেদী মির্জা লিখেছেন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করার জন্য যুদ্ধাপরাধী মাওলানা মান্নানের ‘দৈনিক ইনকিলাব' এর ছাপাখানায় তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে৷
জহিরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘খুব ভালো কাজ৷ এরকম একটা ভুয়া সংবাদ ছাপানোর জন্য তাদের সাজা দেয়া উচিত৷'' তিনি আরো লিখেছেন, যারা এসব ভুয়া খবর বিশ্বাস করেন, তাদের প্রকৃতপক্ষে কোনো জ্ঞান বুদ্ধি নাই৷
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক