1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াত সম্পর্কিত বক্তব্য

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১০ জানুয়ারি ২০১৪

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক স্থায়ী নয়৷ তিনি বলেছেন জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার বিষয়টি সময় এলে দেখা যাবে৷

https://p.dw.com/p/1Ao08
Khaleda Zia 2012
ছবি: Getty Images

এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপিকে কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্থায়ী নয়৷ আর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গেও জামায়াতের সম্পর্ক ছিল৷

Bangladesch Golam Azam
‘জামায়াত যদি সন্ত্রাসী সংগঠন হয় তাহলে সরকারই তাদের নিষিদ্ধ করতে পারে‘ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

গত ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী জামায়াতে ইমলামীর সঙ্গ ত্যাগ করে আলোচনা এবং সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান৷ এরপর খালেদা জিয়া তাঁর বিবৃতিতে নির্বাচন বাতিল ও পদত্যাগ করে সরকারকে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানালেও জামায়াত নিয়ে কথা বলেননি৷

কিন্তু খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাত্‍কারে বলেছেন, ‘‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট কোনো স্থায়ী জোট নয়৷'' তাহলে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ছে কিনা – এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না৷ তবে যখন সময় আসবে তখন দেখব৷'' বিএনপির আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিলে তাঁর দল সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে প্রস্তুত বলেও জানান খালেদা জিয়া৷

এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই না৷ কারণ জামায়াতকে রক্ষা করতে বিএনপি সবকিছুই করছে৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত এবং যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের বাঁচাতে বিএনপি সবধরণের উদ্যোগ নিয়েছে৷ আর জামায়াতের সহযোগিতায় তারা আন্দোলনের নামে হত্যা এবং সন্ত্রাস চালাচ্ছে৷ তিনি বলেন বিএনপি এবং জামায়াত এখন একাকার হয়ে গেছে৷ জামায়াত ছাড়া বিএনপি অচল হয়ে পড়েছে৷

Abdul Quader Mollah
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়েছেছবি: Reuters

হানিফ বলেন, বিএনপিকে কথা নয়, কাজে প্রমাণ করতে হবে যে জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্থায়ী নয়৷ আলোচনায় আসতে হলে তাদের জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তেই হবে৷ এধরণের ‘কৌশলী কথা' বলে লাভ নেই৷

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শিক কোনো মিল নেই৷ এটা কোনো আদর্শিক জোটও নয়, নির্বাচনি জোট৷ তাই জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক স্থায়ী কোনো বিষয় নয়৷ দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সেই বিষয়টি আবারো স্পষ্ট করেছেন৷ এই জোট কতদিন থাকবে তাও নিশ্চিত করে বলা যায় না৷

তিনি বলেন জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও সম্পর্ক ছিল৷ আওয়ামী লীগ, জামায়াত একসঙ্গে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে গেছে ১৯৮৬ সালে৷ এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে আন্দোলন করেছে৷ আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী জামায়াত নেতা গোলাম আযমের কাছে দোয়া নিতে গিয়েছিলেন৷ আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে ভাল আর বিএনপির সঙ্গে থাকলে যুদ্ধাপরাধী, এটাতো হতে পারে না৷

আহমেদ আজম খান দাবি করেন বিএনপিও যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে৷ তবে তা হতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নয়৷

তিনি বলেন জামায়াত যদি সন্ত্রাসী সংগঠন হয় তাহলে সরকারই তাদের নিষিদ্ধ করতে পারে৷ তাহলে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক এমনিতেই থাকবে না৷ কিন্তু তাঁর মতে আওয়ামী লীগ সরকার তা করবে না৷ কারণ তারা জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি করবে৷ নিষিদ্ধ করলে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের কোনো সুযোগ থাকবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য