1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কয়েদিদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভারতের তিহার জেলখানা

২৫ মে ২০১১

‘টিজে’ ভারতের একটি ব্র্যান্ডের নাম৷ তবে এটি অন্যান্য আর দশটা ব্র্যান্ডের মতো নয়৷ কেননা এই ব্র্যান্ড নামের পণ্যগুলো তৈরি করেন যারা তারা তিহার জেলের কয়েদি৷

https://p.dw.com/p/11NVh
তিহার জেলের একজন বন্দি (ফাইল ছবি)ছবি: DW/M.Krishnan

পটেটো চিপস, বিস্কুট, শার্ট সবকিছুই তৈরি করে ‘টিজে'৷ আর এইসব পণ্য তৈরি করার মধ্যদিয়ে অতীতের স্মৃতি নিয়ে বর্তমানে কারাগারের বাইরের জগতকে যেন স্পর্শ করেন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই কারাগারের বন্দিরা৷

এরইমধ্যে নতুন দিল্লির তিহার জেল ভবন বিভিন্নক্ষেত্রে বন্দিদের কারিগরি শিক্ষা দিচ্ছে, যার সফল রূপ তিহার জেল বা টিজে ব্র্যান্ডের পণ্য৷ ভেষজ পণ্য থেকে শুরু করে স্কুল ডেস্ক নানা ধরণের জিনিস তৈরি এবং বিক্রি করে থাকে টিজে৷ ‘মেড ইন তিহার'' ছাপ মারা পণ্য মার্কিন ডলারের হিসেবে গত বছর ২.৪৫ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছিল৷

সঞ্জীবন রায় তিহার জেলের কয়েদি৷ গাঁজা পাচার করার জন্য তাকে এখানে জেল খাটতে হচ্ছে৷ বললেন, এই কারাগারে থেকে তিনি যে কাজ শিখেছেন ভবিষ্যতে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর সম্মানজনক একটা চাকরি খুঁজে পেতে তাকে সাহায্য করবে৷ তিনি বলেন, এখান থেকে আমরা যা শিখেছি তা দিয়ে নিজেরাই নিজেদের মতো করে ব্যবসা শুরু করতে পারবো৷ জলখাবারের ছোটোখাটো একটা দোকান দিয়ে আমরা শুরু করতে পারি আমাদের ব্যবসা৷'' তিহার জেলের মধ্যে একটি বেকারিতে কাজ করতে করতে তিনি বললেন এই কথা৷ তিনি আরও বলেন, এমনকি আমরা যদি সিদ্ধান্ত নেই যে, আমরা অন্য কোথাও কাজ করবো আমরা যা শিখেছি সেখানেও এটি কাজ দেবে৷

একবার জেল খাটার পর কারাগারের বাইরের জীবন এইসব মানুষদের জন্য স্বভাবতই অনেক কঠিন হয়ে ওঠে৷ কারাগারে থাকাটা তাদের জন্য এক ধরণের কলঙ্ক ছাড়া কিছু নয়৷ সামাজিকভাবে সবাই আর তাদের সঙ্গে আগের মতো মেলামেশা করেননা৷

তিহার জেল কমপ্লেক্স এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল রাম নিবাস শর্মা এ প্রসঙ্গে বলেন, কারাগারবাসীদের প্রতি এই ধরণের ট্যাবু দূর করা এবং তাদের কর্মদক্ষ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের উদ্দেশ্য৷ শর্মা আরো বলেন, এইভাবে কাজ শিখে নিজেদের কর্মদক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছেন বন্দিরা৷ কারাগারে অলস সময় না কাটিয়ে তারা এখানে এমন কিছু করছেন এবং এমন কিছু শিখছেন যা তাদের জীবন ধারণের ক্ষেত্রে কাজে আসবে৷ এটা এমন কিছু যা মানবতার জন্য কল্যাণকর৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক