1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কয়লা ব্লক বণ্টনের দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল সংসদ

২১ আগস্ট ২০১২

ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্ট অনুযায়ী কয়লা ব্লক সংক্রান্ত আর্থিক কেলেঙ্কারি ইস্যু নিয়ে সংসদ আজ উত্তাল৷ বিরোধী দলগুলি এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে৷ কারণ সে সময় কয়লা মন্ত্রক ছিল তাঁরই অধীনে৷

https://p.dw.com/p/15tit
ছবি: dapd

কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল বা সিএজি'র রিপোর্ট অনুসারে কয়লা ব্লক বণ্টনের অনিয়মের ফলে সরকারের লোকসান হয়েছে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি টাকা৷ এই আর্থিক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে প্রত্যাশিতভাবেই আজ সংসদ উত্তাল হয়ে ওঠে৷ বিজেপি এবং অন্য বিরোধী দল সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে৷ তাদের অভিযোগ, সিএজি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কয়লা ব্লক নিলাম না করে ইচ্ছামতো বণ্টন করার ফলেই এই লোকসান৷ তুমুল হৈ হট্টগোলে সভা অচল করে রাখে বিরোধীপক্ষ৷

যে সময় কয়লা ব্লক বণ্টন করা হয়েছিল, সে সময় কয়লা মন্ত্রক ছিল প্রধানমন্ত্রীর অধীনে৷ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য রাখতে চাইলে বিজেপি বলে বক্তব্য নয়, ইস্তফা চাই৷ কংগ্রেস তথা সরকারের তরফে মনীষ তেওয়ারি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি অযৌক্তিক৷ বিপক্ষ দল যদি মনে করে তাদের অভিযোগের সারবত্তা আছে, তাহলে তা নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে পারে৷ বিপক্ষ দল এবং সরকার নিজেদের বক্তব্য রাখবে৷ রায় দেবে দেশের মানুষ৷

Indien Unabhängigkeit Rotes Fort Delhi
কয়লা ব্লক বণ্টনের দুর্নীতি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’এর ইস্তফা দাবি করেছে বিরোধী দলগুলি...ছবি: Getty Images

বিজেপি'র বর্ষিয়ান সাংসদ মুরলি মনোহর যোশীর মন্তব্য, ‘‘দুর্নীতি প্রশ্নে তদন্ত তো করা যেতেই পারে৷ সরকার সদুত্তর দিতে না পারলে, অন্য কী উপায়?'' সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাসগুপ্ত বলেন, ‘‘দুর্নীতির ইস্যু সংসদে উঠলে আমি নির্দ্বিধায় তা সমর্থন করবো৷ সংসদে বাম ও বিজেপি'র ফারাক নেই৷''

Indien Frauen in Kohlenbergbau in Jharkhand
২০০৫ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ১৪২টি কয়লা ব্লক নিলাম না করে বণ্টন করা হয় ভারতে...ছবি: AP

গত শুক্রবার সিএজি এই রিপোর্ট দেয়৷ তাতে বলা হয়, ২০০৫ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ১৪২টি কয়লা ব্লক নিলাম না করে বণ্টন করা হয়৷ তাতে অন্তত ২৫টি বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিশেষ সুবিধা পায়, যার আর্থিক মূল্য ১ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি টাকা৷

সরকারের বক্তব্য, যে সময় বণ্টন করা হয়েছিল, তখন দেশের অর্থনীতি ও শিল্পের দ্রুত অগ্রগতির জন্য কয়লা ছিল জরুরি উপাদান৷ আর্থিক দিকটা প্রধান লক্ষ্য ছিল না৷ দ্বিতীয়ত, ঐ সময়ে নিলাম করার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না৷ এই নিয়ম সংশোধন করা হয় ২০১০ সালে৷

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আর বছর দেড়েক পর সাধারণ নির্বাচন৷ তাই একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জেরবার সরকারকে কোণঠাসা করে মনমোহন সিং সরকারের অপদার্থতা দেশের সামনে তুলে ধরতে বিজেপি মরিয়া চেষ্টা চালাবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য