1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রাইমিয়া সংকটে ন্যাটো

স্টেফানি হ্যোপনার/এসি৪ মার্চ ২০১৪

রাশিয়া ক্রাইমিয়ায় সৈন্য পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো সমালোচনায় মুখর৷ বৈঠকের পর বৈঠক চলছে এবং আগামীতেও চলবে৷ তা-তে অন্তত বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ থাকবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/1BIis
ছবি: Reuters

ক্রাইমিয়ার পরিস্থিতি ক্রমেই আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে৷ ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছে এবং ন্যাটোর সাহায্য প্রার্থনা করেছে৷ রবিবার ন্যাটোর বৈঠকের আগেই জোটের মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন রাশিয়ার প্রতি অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানান৷ ‘‘রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনে যা করছে, তা জাতিসংঘের সনদের বিরোধী৷ এর ফলে ইউরোপের শান্তি ও নিরাপত্তা বিপন্ন হচ্ছে'', বলেছেন রাসমুসেন৷

জার্মানির তরফ থেকেও বক্তব্য স্পষ্ট৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ‘‘ক্রাইমিয়ায় যা ঘটছে, তা নিয়ে আমরা বিশেষভাবে চিন্তিত৷'' পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ঘোষণা করেছেন, রাশিয়া ক্রাইমিয়ায় যা করছে, তা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও রাজ্যাঞ্চলিক সংহতির সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খেতে হবে৷

Harald Kujat ehemaliger Generalinspektor der Bundeswehr
জার্মান সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান হ্যারাল্ড কুইয়াটছবি: privat

রাশিয়ায় সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন, রাশিয়ার ব্যাপারে নয়

অপরদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, ন্যাটোর রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলা উচিত৷ এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ন্যাটো-রাশিয়া পরিষদের বৈঠক আহ্বানের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন হ্যারাল্ড কুইয়াট, যিনি জার্মান সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান এবং ন্যাটোর সামরিক পরিষদের সাবেক সভাপতি৷ রাশিয়ার উপর সেটাই সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতো, বলে তিনি মনে করেন৷

ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়৷ কাজেই ন্যাটোর পক্ষে আপাতত ইউক্রেনকে বাস্তবিক সাহায্য করা সম্ভব নয় বলেই কুইয়াটের ধারণা – সামরিক সাহায্য প্রদান তো নয়ই: রাশিয়া যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি, তা বিস্মৃত হলে চলবে না৷ কাজেই কুইয়াটের পরামর্শ হলো: রাশিয়ার সম্বন্ধে কথা না বলে, রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করো৷

মধ্যস্থের ভূমিকায় ন্যাটো?

সামরিক বিশেষজ্ঞ ক্লাউস মমসেনের মতে ন্যাটো এই সংঘাতে সত্যিই মধ্যস্থের ভূমিকা নিতে পারে৷ মমসেন বলেন: ‘‘ন্যাটো তো শুধু একটা প্রতিরক্ষা জোট নয়; বরং সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়া যাবৎ ন্যাটো একটি রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত হয়েছে, যে মঞ্চে রাশিয়াও উপস্থিত, যেমন ন্যাটো-রাশিয়া পরিষদের মাধ্যমে৷''

২০০৮ সালে যখন রাশিয়া এবং জর্জিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলে, তখনও ন্যাটো প্রধানত কূটনৈতিক পন্থাতেই তার প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছিল৷ দক্ষিণ অসেশিয়া ও আবখাজিয়া আজও রুশ প্রোটেক্টোরেট বা সুরক্ষিত এলাকা৷ ন্যাটোর সে কথা খুব ভালোভাবেই স্মরণে আছে, বলে মমসেন মনে করেন৷

রাশিয়াকে অবশ্য আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা চলে, যেমন সোচিতে জি-এইট গোষ্ঠীর বৈঠক বর্জন করার মাধ্যমে৷ কিন্তু সে ধরনের বয়কটের প্রতীকী মূল্য ছাড়া আর কিছু থাকবে কি? প্রশ্ন তুলেছেন মমসেন৷ আবার একেবারে কোনো আশা নেই, এমন তো নয়৷ রুশ প্রধানমন্ত্রী মেদভেদেভ তাঁর ইউক্রেনীয় সতীর্থের সঙ্গে টেলিফোনে কথাবার্তা বলেছেন৷ সেটাও এক ধরনের যোগাযোগ, মনে করেন মমসেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য