ক্রাইমিয়ায় গণভোটের বছরপূর্তি, যুদ্ধ অব্যাহত ইউক্রেনে
১৬ই মার্চ – এক বছর আগে ঠিক এই দিনটিতেই রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিল ক্রাইমিয়ার জনগণ৷ ইউক্রেনের জাতিগত রুশ স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলটি যোগ দিয়েছিল রাশিয়ার সঙ্গে৷ এক বছর পর কেমন আছে ক্রাইমিয়া, ইউক্রেন?
একচ্ছত্র আধিপত্য
গত এক বছরে ক্রাইমিয়ার ওপর তাদের পূর্ণ আধিপত্য বিস্তার করেছে মস্কো৷ সেখানকার নতুন প্রজন্ম এখন বড় হচ্ছে সেই আধিপত্যের ছত্রছায়ায়৷ স্কুলের সিলেবাস, টেলিভিশন অনুষ্ঠান – সবকিছুতেই এখন একটা মস্কোপন্থি ছাপ৷ সবেতেই রুশ দৃষ্টিভঙ্গির ছোয়া৷
‘দখলমুক্ত হয়েছি আমরা’
অথচ ক্রাইমিয়ার সাধারণ মানুষ সেদিন ইউক্রেন থেকে আলাদা হয়ে উল্লসিতই হয়েছিল৷ বর্ণিল পোশাকের মানুষ সেদিন নেচে-গেয়ে আনন্দ করতে করতে বলছিল, ‘‘আমরা দখলমুক্ত হয়েছি৷ ক্রাইমিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যে এতদিন আলুর বস্তার মতো আটকে ছিল৷’’
এখনও থমথমে ‘ফ্রন্টলাইন’
এক বছর আগের ঐ গণভোটের পরও, ক্রাইমিয়াকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক উত্তেজনা শেষ হয়নি৷ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল তাই আজও রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রকেট হামলা আর গোলাগুলিতে জর্জরিত৷ আর তার সঙ্গে চলছে রুশ বাহিনীর তটস্থতাও৷
তর্জন-গর্জনে কাজ হয়নি
ইউক্রেনে আগ্রাসনের ঘটনায় একটা সময় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা মস্কোর প্রতি বারবারই আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা ক্রাইমিয়া সীমান্ত থেকে তাদের সৈন্য সরিয়ে নেয়৷ জার্মানিও রাশিয়াকে সতর্ক করেছে বহুবার৷ কিন্তু কোথায় কী?
একেবারেই কিছু হয়নি, তা নয়
বেলারুশে স্বাক্ষরিত বোঝাপড়া অনুয়ায়ী, দু’পক্ষের মধ্যে ‘বাফার জোন’ সৃষ্টি হয়েছে৷ লুগানস্ক ও দোনেৎস্কের জন্য তিন বছরের স্বায়ত্তশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেন৷ ওদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এবং রুশপন্থি বিদ্রোহীদের মধ্যে ‘যুদ্ধবিরতি’ কায়েম করতে সেখানে তাদের অবস্থান আরো একবছর বাড়িয়েছে ‘দ্য অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ’ বা ওএসসিই৷