‘‘ক্যারাভান অফ পীস’’
২৩ জানুয়ারি ২০০৯এই উত্তাপ নিরসনে পাকিস্তানের সুশীল সমাজের এক প্রতিনিধিদল ‘‘ক্যারাভান অফ পীস'' নামে শান্তি মিশনে নতুন দিল্লীতে এসে ভারতের সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করে এই সিদ্ধান্তে আসেন, যে উভয় দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণই শান্তির পক্ষে৷ যদিও ভারতের মনে মুম্বাই কান্ডের রক্তক্ষরণ এখনও বন্ধ হয়নি৷
পাকিস্তানও সেটা বোঝে৷ কিন্তু সেজন্য শান্তিকে বন্ধক রেখে সেই ক্ষত নিরাময় সম্ভব নয়৷ যুদ্ধে পাকিস্তানের গণতন্ত্র বিপন্ন হবে৷ দু-দেশের ধ্বংস হবে ত্বরান্বিত৷ মাঝখান থেকে লুটে খাবে বিশ্ব রাজনীতির ক্ষমতা লোলুপ দালালরা৷ কাজেই অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগের পালা সরিয়ে রেখে আবার শুরু করা হোক শান্তি প্রক্রিয়া৷
পাকিস্তানের সুশীল সমাজ সে-দেশের বর্তমান সরকারকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে যাতে মুম্বাই-হানার অপরাধীদের বিচার স্বচ্ছভাবে এবং দ্রুততার সঙ্গে যেন শেষ করা হয়৷ সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী জেনারেল ইমতিয়াজ আলম বলেন, পাকিস্তান সরকার কোনমতেই তার দায়বদ্ধতা অস্বীকার করতে পারেনা৷ তবে একথা ভুলে গেলেও চলবে না, পাকিস্তানও সন্ত্রাসের শিকার৷
শুক্রবার নতুন দিল্লীর প্রেস ক্লাবে, পাকিস্তানী শান্তি মিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারতীয় সাংবাদিক আলাপচারিতা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে নানা প্রসঙ্গ ওঠে৷ কাশ্মীর, সিয়াচেন ও পরমাণু ইস্যু ইত্যাদি৷ কাশ্মীর ইস্যুর সঙ্গে সন্ত্রাস যুক্ত করার বিপক্ষে অভিমত প্রকাশ করা হয়৷
শান্তি মিশনের নেত্রী, পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন আশমা জাহাঙ্গীর এই মিশনের সাফল্য সম্পর্কে বলেন যে, এটা কঠিন সময় তা তিনি জানেন৷ ভারতের মানুষ ক্ষুদ্ধ, পাকিস্তানের মানুষ উদ্বিগ্ন৷ তবু তিনি আশাবাদী৷ তিনি আস্থা রাখেন দু'দেশের জনগণের অভিন্ন প্রাজ্ঞতা ও শুভবুদ্ধির ওপর৷