1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কোয়েলে আলাফ’ বলে একে অন্যকে অভিনন্দন জানালো কোলনবাসী

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০

কার্নেভাল নিয়ে মেতে উঠেছে জার্মানির কয়েকটি শহর৷ আর সেই কার্নেভাল উৎসবের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দিন আজ - ‘রোজেন মোনটাগ’ অথবা গোলাপি সোমবার৷ রঙিন সাজ কোলন, মাইনৎস, ড্যুসেলডর্ফ, বন শহরেও৷

https://p.dw.com/p/M1wT
কোলন শহর মেতে উঠেছে কার্নেভালের রং-এছবি: AP

কোলনে প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ পথে, শয়ে শয়ে মানুষ - না, শুধু গোলাপি রঙে নয়৷ নানা বেশে, নানা রঙে, নিজেদের সাজিয়ে উপস্থিত হয়েছে শহরের এক্কেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে৷ আর কার্নেভালের প্রথাসিদ্ধ ডাক, ‘কোয়েলে আলাফ' বলেই একে অন্যকে অভিনন্দন জানিয়েছে তারা৷

একটার পর একটা ট্যাবলোধারী গাড়ির বহরে মুখরিত হয়েছে রাইনল্যান্ডের নামি এই শহরখানা৷ সব মিলিয়ে ১৩০ খানা গাড়ি আর ১২০টি ব্যান্ড বাজিয়ের দল এগিয়ে যায় শহরের নির্দিষ্ট পথে৷ শোভাযাত্রায় অংশ নেয় এগারো হাজার আটশ মানুষ৷ আনন্দে উদ্বেলিত মানুষ ছড়িয়েছে খুশির ফোয়ারা৷ তবে সবচেয়ে মজায় রয়েছে বোধহয় শিশুরা৷ গাড়ি থেকে দর্শকদের মাঝে ছুঁড়ে দেয়া হয়েছে রাশি রাশি চকলেট, পপকর্ন আর রকমারি মিষ্টি৷

Flash-Galerie Karneval 2010
কোলন শহরের মধ্যে দিয়ে চলেছে ট্যাবলোধারী গাড়িছবি: picture-alliance/dpa

‘কামেলে, কামেলে' - এই ধ্বনি উঠতেই বরফের মতোই হচ্ছে মিষ্টির বৃষ্টি৷ তাই ঘন্টার পর ঘন্টা এই ঠান্ডাতেও হাঁটতে বাধছে না খুদে খুদে বন্ধুদের৷ আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই উপস্থিত৷ থলে নিয়ে কুড়িয়েছে উপহার৷ একটি চুম্বনের বিনিময়ে তরুণীর হাতে তুলে দিয়েছে কেউ গোলাপের স্তবক৷ কোলনের এবারকার রোজেন মোনটাগ শোভাযাত্রায় ছোঁড়া হয়েছে ৩০০ টনেরও বেশি মিষ্টি জাতীয় জিনিস, চকলেটের সাত লক্ষ ছোট ছোট বার, আরও দু লক্ষ বিশ হাজার চকলেট, হাজার হাজার ছোট ছোট পুতুল, এমনকি সুগন্ধীও৷

এ বছরের নানা ট্যাবলোয় আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে৷ এই যেমন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার চোখের সামনে ইরানী প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ ট্রয় নগরীর ঘোড়া টেনে নিয়ে যাচ্ছেন৷ আর সেই ঘোড়ার পেটের ভিতর অ্যাটম বোমা৷

Flash-Galerie Karneval 2010
মাইনৎস শহরের শোভাযাত্রা ছিল সাত কিলোমিটার দীর্ঘছবি: picture-alliance/dpa

শুধু তাই নয়, একটি ট্যাবলোয় সুইমিং সুট আর রোদ চশমা পরা কিছু ইঁদুর'কে ‘ক্লিমাকনফারেনৎস' বা জলবায়ু সম্মেলন নামের ডুবন্ত এক জাহাজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে৷ ইটালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বের্লুসকোনিকে নিয়েও কার্নেভালে রসিকতা করা হয়েছে ট্যাবলো দিয়ে৷ তিয়াত্তর বছর বয়স্ক বের্লুসকোনির মাথা ডুবে আছে চতুর্দিকে নারীবক্ষের এক সাগরে৷

বলা বাহুল্য, দেশের ভিতরকার নানা বিতর্কিত বিষয়ও স্থান পেয়েছে কোলন, মাইনৎস আর ড্যুসেলডর্ফের কার্নেভালে৷ ড্যুসেলডর্ফের কার্নেভালের শোভাযাত্রায় অংশ নেয় ৭০টি ট্যাবলোধারী গাড়ি৷ করহ্রাস এবং রাষ্ট্রীয় ঋণের বিপুল অংক নিয়ে রসিকতা করা হয়েছে ট্যাবলোয়৷ রেহাই পাননি এমনকি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ তাঁদের কোয়ালিশন জোটকে ‘‘হানিমুন'' আখ্যা দেয়া হয়েছে৷ মাইনৎস শহরে শোভাযাত্রা চলে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ পথে৷ সর্বত্রই শোনা গেছে গান - কার্নেভালের গান...

প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক