কৃষকের নবান্ন উৎসব এখন নগরীতে
১৫ নভেম্বর ২০১১বাংলার কৃষকের উঠোনের এই উৎসব জায়গা করে নিচ্ছে নগর জীবনেও৷ অগ্রহায়ণের প্রথম দিনে জমে উঠেছে চারুকলা অনুষদের বকুলতলা৷ ভৈরবী রাগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব৷ অতিথিদের আপ্যায়নের আয়োজনে ছিল মুড়ির মোয়া, খই ও বাতাসা৷
সকালে নাগরিক নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ৷ এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘অনেক কৃষকের বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব পালিত হয়৷ অনেক বছর আগে থেকেই এ উৎসব আছে এবং থাকবে৷ আমরা যেন প্রতিবছর এই উৎসব পালন করতে পারি৷''
মূলত দুই পর্বে ঢাকায় নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হয়৷ প্রথম পর্বে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা৷ এসময় নবান্ন শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলায় এসে শেষ হয়৷ দ্বিতীয় পর্বে ছিল আবৃত্তি, রবীন্দ্র-লোক সংগীত ও নাচ৷
জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ গত কয়েকবছর ধরেই ঢাকায় এই উৎসবের আয়োজন করেছে৷ পর্ষদের আহবায়ক শাহরিয়ার সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘নবান্ন গ্রাম বাংলার কৃষকদের মূল উৎসব৷ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ধানই আমাদের অন্ন৷'' নবান্নের দিনটিতে জাতীয় ছুটি ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান সালাম৷
উল্লেখ্য, গত ১৩ বছর ধরে ঢাকায় নবান্ন উৎসব আয়োজনে কাজ করছে নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ৷ এবছর এই অনুষ্ঠানকে উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত ভাষাসৈনিক ও শিল্পী ইমদাদ হোসেনকে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক