1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিউবায় পোপ

৩০ মার্চ ২০১২

কিউবা সফরে গিয়ে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করলেন৷ ফলে ফিদেল আর রাউল কাস্ত্রোর মন জয় করে ফেললেন খ্রিষ্টগুরু৷

https://p.dw.com/p/14UrO
ছবি: Reuters

অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা৷ বামপন্থী কিউবার ওপরে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরোপ করে রেখেছে গত অর্দ্ধশতাব্দ ধরে৷ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের ভাষণে শোনা গেল সেই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা৷ বললেন, দেশের বাইরে থেকে চাপানো এ ধরণের নিষেধাজ্ঞার কুপ্রভাবে সবথেকে বেশি যাদের সমস্যা হচ্ছে, তারা হল কিউবার সাধারণ মানুষ৷

‘প্রাথমিক স্বাধীনতা' বা মানুষের স্বাভাবিক বিকাশের কথাই পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট তাঁর বার্তায় বললেন কিউবা সফরে গিয়ে৷ একদিকে তিনি যখন মার্কিন আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছেন, তখন অন্যদিকে মানুষের স্বাভাবিক বিকাশের বার্তা দিলে সেটা যে কিছুটা কম্যুনিজমের আদত বক্তব্যের পরিপন্থী হয়ে যায়, সেটা অবশ্য ৮৪ বছরের খ্রিষ্টীয় ধর্মগুরুর বিবেচনায় থেকেছে৷ যে কারণে, রাজধানী হাভানার নামকরা রিভোল্যুশন স্কোয়্যারে কয়েক হাজার মানুষের জমায়েতে পোপ ‘ঐশ্বরিক আলো'-র উল্লেখ করেছেন৷ বলেছেন, কিউবার মানুষের জন্য প্রয়োজন এক এমন সমাজ, যার দৃষ্টিভঙ্গী হবে আরও প্রশস্ত৷ বলেছেন, ‘লাইট অব লর্ড' বা সেই ‘ঐশ্বরিক আলো' সে পথেই নিয়ে যাবে কিউবাকে৷

Papst Benedikt XVI. in Havanna
কিউবায় পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টছবি: Reuters

কিউবার শাসনভার এখন রাউল কাস্ত্রোর হাতে৷ বিপ্লবী এবং কিউবার নামজাদা প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর ছোটভাই রাউল নিজেও হাজির ছিলেন পোপের ভাষণের সময়৷ কিউবা সফরে খ্রিষ্টীয় ধর্মগুরু পোপ অবশ্য সেদেশের সর্বমান্য নেতা তথা গোটা বিশ্বে স্বীকৃত বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গেও দেখা করেছেন৷ 

গত ১৪ বছরের মধ্যে কম্যুনিস্ট কিউবাতে কোন পোপ সফর করেন নি৷ সেই দিক থেকে দেখলে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের কিউবা সফরের একটি অন্যধারার তাৎপর্য্য রয়েছে৷ সেদেশের অভ্যন্তরে খ্রিষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের অভাব না থাকলেও ধর্মচর্চার তেমন বাড়াবাড়ি কিউবাতে নেই৷ তা স্পষ্ট রাজনৈতিক কারণেই যে সেটা বোঝাই যায়৷ পোপ বেনেডিক্ট সে কারণেই কিউবার অভ্যন্তরে রাজনৈতিক সংস্কারের কথা সরাসরি না বললেও তাঁর ভাষণে কিছুটা ইঙ্গিত রেখেছেন৷ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত মঙ্গলবার কিউবার ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিনো মুলিনো সাফ জানিয়েছেন, কিউবার এই মুহূর্তে কোন রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না প্রশাসন৷

পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট তাঁর ভাষণের কোথাও সে ধরণের কোন সরাসরি ইঙ্গিত রাখেন নি, যদিও একথাও বলতে ছাড়েন নি যে তিনি কিউবাকে সব কিউবার নাগরিকের নিজের দেশ হিসেবে দেখতে চান৷ এখানে অনুল্লেখ্য হলেও বলা হয়েছে আসলে সেইসব কিউবানদের কথা, যাঁরা রাজনৈতিক কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বহু দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে রয়ে গেছেন৷ কাস্ত্রো জমানায় তাঁদের দেশে ফেরাটা অসম্ভব বললেও কম বলা হয়৷

মোট দুটি জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট৷ রেভোল্যুশন স্কোয়্যারের জনসভা ছাড়াও কিউবা ত্যাগ করা আগে বিমানবন্দরেও ছিল তাঁর আরেকটি ভাষণের আয়োজন৷ দুটি সভাতেই প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল৷ এর থেকে বোঝা গেছে, ধর্মের প্রভাব কম্যুনিস্ট কিউবাতে আসলে ভিতরে ভিতরে রয়ে গেছে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় / এএফপি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য