1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি

৭ জুলাই ২০১০

২০০৯ সাল থেকে কার্লসরুয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কার্লসরুয়ে গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হয়েছে৷ নতুন নামে আবির্ভূত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি – কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি৷

https://p.dw.com/p/OCMl
কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজিছবি: AP

জার্মানির দক্ষিণে অবস্থিত বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ রাজ্যে অবস্থিত কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি৷ বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয় নিয়ে গবেষণা এবং পড়াশোনার জন্য কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি অন্যতম৷

১৮২৫ সালে এখানে পড়ানো হত না৷ গবেষণার জন্য শুধু গবেষকরাই আসা যাওয়া করতেন৷ এরপর ১৮৬০ সালে যোগ করা হয় শিক্ষার বিষয়টি৷ প্রতিষ্ঠিত হয় কার্লসরুয়ে বিশ্ববিদ্যালয়৷ তখন গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রাম ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনার জন্যও সুনাম কুড়ায়৷ এরপর ১৯৭২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ করা হয় কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়টি৷ জার্মানিতে সেই সময় হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়টি পড়ানো শুরু হয়৷

সবমিলে ৬টি অনুষদ রয়েছে কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজির৷ এই অনুষদগুলোর অধীনে প্রায় ২৭টি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে৷

Technische Hochschule Karlsruhe
১৯৭২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ করা হয় কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগটিছবি: dpa

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান পড়াশোনা করছে প্রায় ২০ হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ তার মধ্যে প্রায় তিন হাজার ছয়শ' বিদেশি৷ অর্থাৎ প্রায় ১৭ শতাংশই হল বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী৷ তবে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের সবচেয়ে বড় দলটি আসে এশিয়া থেকে এবং প্রায় ৮০ শতাংশই হল চীনের ছাত্র-ছাত্রী৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা, ভর্তির বিষয়টি দেখাশোনা করছেন ডঃ নিসেন৷ যে ছাত্র- বা ছাত্রী প্রথমবারের মত জার্মানিতে আসে তাঁকে কীভাবে সাহায্য করা হয় ?

ডঃ নিসেন জানালেন, ‘‘সাহায্য করা হয় তখন থেকেই, যখন আমরা প্রথম তাদের আবেদনপত্রটি হাতে পাই৷ এরপর শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফলাফল এবং আগ্রহ অনুযায়ী বিষয় খোঁজা হয়৷ এসব হয়ে গেলে তখন আবেদনকারী আমাদের কাছ থেকে ভর্তির অনুমতি পায়৷ সেই সময় তাঁকে আরো বেশ কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হয়৷ যখন ছাত্র বা ছাত্রীটি চলে আসে তখন তাঁর স্বাস্থ্যবীমা, ভিসা বাড়ানো, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা – এসব দায়িত্ব আমরা নিয়ে নেই৷ আমরা শহরটিও ঘুরে ফিরে দেখাই৷ কোথায় কী আছে তাও আমরা জানিয়ে দেই৷ তবে এসব কিছুই করা হয় ক্লাস শুরু হওয়ার আগে৷ অন্তত চার সপ্তাহ আগে৷''

কীভাবে কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজির প্রচার বিভিন্ন দেশে করা হয় ? ডঃ নিসেন এ প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ‘‘ভাল প্রশ্ন৷ এক কথায় উত্তর হল কোনো ধরণের প্রচারই আমরা করে থাকি না৷ এর মূল কারণ হল কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি এবং আগের নাম কার্লসরুয়ে ইউনিভার্সিটির সুনাম থাকায় কোনো প্রচারের প্রয়োজন হয়নি৷ এর ফলে দেশি-বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ থেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত, নিজ উদ্যোগেই আমাদের কাছে আবেদনপত্র পাঠাতো৷ এছাড়া যেসব বাবা-মা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে তারাই তাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিদের পাঠাচ্ছে৷''

এই মুহূর্তে এশিয়া থেকে প্রায় এগারশ' ছাত্র-ছাত্রী কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজিতে পড়াশোনা করছে৷ তবে দক্ষিণ এশিয়া থেকে খুব বেশি ছাত্র-ছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে না৷ এর মূল কারণ হল জার্মান ভাষায় দক্ষতা না থাকা৷ কারণ গ্র্যাজুয়েশন কোর্সগুলো সাধারণত জার্মান ভাষায় এবং বেশ কিছু মাস্টার্স কোর্স শুধুমাত্র জার্মান ভাষায় পরিচালিত হয়৷ আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয় কিন্তু জার্মান ভাষায় দক্ষতা না থাকায় আবেদন পত্র খারিজ করে দেওয়া হয়৷ তবে ভারতের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম রয়েছে কালর্সরুয়ে ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজির৷ ডঃ নিসেন সে সম্পর্কে জানান, ‘‘ ভারতের আই আই টি অর্থাৎ ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউ অফ টেকনলজির সঙ্গে আমাদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম রয়েছে৷ প্রতি বছর ৮ থেকে ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী এখানে আসে৷ তবে শুধু মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য৷ তারা এখানে কিছুদিন থাকে, মাস্টার্সের থিসিস শেষ করতেই মূলত তাদের এখানে পাঠানো হয়৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ