1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাতার বিশ্বকাপ শীতে খেলাই ভালো: বেকেনবাউয়ার

৪ ডিসেম্বর ২০১০

বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর সচরাচর গ্রীষ্মেই হয়ে থাকে৷ কিন্তু মরুভূমির গ্রীষ্মে বিশ্বকাপ হলে সে এক সমস্যা৷ তাই বেকেনবাউয়ার চান কাতার বিশ্বকাপের আয়োজন হোক জানুয়ারি মাসে৷

https://p.dw.com/p/QPjW
ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ারছবি: picture-alliance/ dpa/dpaweb

কবে কখন কাতার বিশ্বকাপ

ফিফার সম্মতি মিলে গেছে৷ মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে বিশ্বকাপের আয়োজন করা হবে বারো বছর পরে৷ মানে ২০২২ সালে৷ তো, যেহেতু বিশ্বকাপ আয়োজনের আসল সময়টা হল গ্রীষ্ম, তাই সেটাকে একটু বদলে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন জার্মানির প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার তথা ফিফা নির্বাহী কমিটির সদস্যদের অন্যতম ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ার৷

বেকেনবাউয়ারের পরামর্শ

জার্মান পত্রিকা বিল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলা বেকেনবাউয়ারের যুক্তিটা খুবই প্রয়োজনীয়৷ সচরাচর জুন জুলাই মাসটাই ফিফা বিশ্বকাপের সময়৷ তো, সেই সময়ে যদি মরুভূমির দেশ কাতারে খেলতে নামতে হয় তাহলে গরমে খেলোয়াড়দের নাভিশ্বাস উঠে যাবে৷ তাছাড়া স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছু শীততাপ নিয়ন্ত্রক করে তৈরি করতে হবে৷ তাই জার্মান ফুটবলের কাইজারের বক্তব্য, কাতারে যখন বিশ্বকাপ খেলতেই হবে তাহলে সময়টাকে এগিয়ে আনা যাক৷ জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে সেদেশে বিশ্বকাপ হলে কোথাও কোন সমস্যা থাকবে না৷ বেকেনবাউয়ার জানিয়েছেন, বছরের ওই দুটো মাস, অর্থাৎ জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারিতে কাতারের তাপমাত্রা মোটের ওপর ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের এধার ওধারে ঘোরাফেরা করে৷ আর সেরকম তাপমাত্রা ফুটবলের জন্য আদর্শ৷

২০১৮ আর ২০২২ বিশ্বকাপের ভোটাভুটি নিয়ে মুখে কুলুপ

জুরিখের ভোটাভুটিতে ফিফার ২২ জন নির্বাহী সদস্যদের একজন হিসেবে নিজের ভোট দিয়েছেন বেকেনবাউয়ার৷ বিল্ড তাঁর কাছে জানতে চায়, কাকে ভোটটা দিলেন? ভোট কাকে দিয়েছেন জানাননি তবে প্রথম রাউন্ডেই ২০১৮-র তালিকা থেকে ইংল্যন্ডের ছিটকে যাওয়া আর ২০২২ - এর দৌড়ের তালিকায় থাকা অ্যামেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান আর অস্ট্রেলিয়াকে টপকে কাতারের জিতে যাওয়াটা তাঁকে বেশ অবাক করেছে বলে জানিয়েছেন৷ যদিও ২০১৮-র বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ রাশিয়া যে একটা দারুণ বিশ্বকাপের আয়োজন করবে, সে বিষয়ে তাঁর কোন সন্দেহ নেই, বলেছেন জার্মানিকে খেলোয়াড় আর ম্যানেজার হিসেবে দুটো বিশ্বকাপ উপহার দেওয়া ফ্রাঞ্জ বেকেনবাউয়ার৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জাহিদুল হক