1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাতারে শ্রমিকদের দুরবস্থা

১৮ নভেম্বর ২০১৩

নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ভারতের মতো অনেক দেশের শ্রমিক কাতারে অসহনীয় পরিবেশে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল এক দীর্ঘ রিপোর্টে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে৷

https://p.dw.com/p/1AJKj
Bildnummer: 58098997 Datum: 18.01.2012 Copyright: imago/imagebroker Gastarbeiter kommen vom Einkaufen, Doha, Qatar, Vereinigte Arabische Emirate, Vorderasien x0x xkg 2012 quer am arabisch arabische arabischer arabisches außen Außenaufnahme Ausländer Auslaender aussen Aussenaufnahme Aussenaufnahmen bei Doha draußen draussen ein Einkaufen einkaufend einkaufende einkaufender einkaufendes Emirate Gastarbeiter Katar kaufen kauft kommen Leute Mensch Menschen Person Personen Qatar Tag Tage Tageslicht tagsüber tagsueber VAE Vereinigte vom Vorderasien 58098997 Date 18 01 2012 Copyright Imago image broker Guest workers come of Shopping Doha Qatar United Arab Emirates Asia x0x xkg 2012 horizontal at Arab Arab Arabian Arabic exterior Outside view Foreigners Foreigners exterior Outside view Outside at Doha outside outside a Shopping einkaufend purchasing einkaufender by purchasing Emirates Guest workers Qatar Purchase buying come People Man People Person People Qatar Day Days Daylight during the day during daytime UAE United of Asia
ছবি: imago/imagebroker

পারস্য উপসাগরীয় ছোট্ট দেশ কাতার অনেক ক্ষেত্রেই চমক দেখিয়ে চলেছে৷ বিশেষ করে ক্রীড়াক্ষেত্রে একের পর এক সাফল্যের পথে এগিয়ে চলেছে দেশটি৷ প্রথমে এশিয়ান গেমসের আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে৷ এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের পালা৷ ২০২২ সালে প্রযুক্তির চমক দেখিয়ে স্মরণীয় এক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর কাতার৷ অলিম্পিক আয়োজনের স্বপ্নও দেখছে দেশটি৷

এত বড় মহাযজ্ঞ মানেই বিশাল আকারের নির্মাণের কাজ৷ কাতারে অতিথি শ্রমিক ও কর্মীদের সংখ্যা নাগরিকদের চেয়ে বেশি৷ নির্মাণের কাজের জন্য আরও শ্রমিক আনা হয়েছে৷ কিন্তু তাঁদের প্রতি অমানবিক আচরণ আন্তর্জাতিক স্তরে বিশাল সমালোচনার ঝড় তুলেছে৷ এবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল ১৬৯ পাতার এক রিপোর্টে এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, কাতারে বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে জন্তু-জানোয়ারের মতো আচরণ করা হচ্ছে৷ শ্রমিকরা ঠিকমতো মজুরি পাচ্ছেন না, তাঁদের কঠিন ও বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, তাঁদের থাকার ব্যবস্থাও অত্যন্ত কঠিন৷ তাছাড়া বিদেশি শ্রমিকরা ইচ্ছামতো দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন না৷ তাঁদের বিশেষ ‘এক্সিট পারমিট'-এর দরকার হয়৷ স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলেও উপযুক্ত চিকিৎসা পান না তাঁরা৷ অ্যামনেস্টির প্রধান সলিল শেট্টি বলেন, তাঁর টিম গত শুক্রবারই নেপাল ও শ্রীলঙ্কা সহ কিছু দেশের ৭০ জন শ্রমিকের সঙ্গে দেখা করেছে, যাঁরা গত ৯ থেকে ১০ মাস মজুরি পাননি৷

DOHA, QATAR - OCTOBER 23: Workers stand on the construction site of a new office building in the budding new financial district on October 23, 2011 in Doha, Qatar. Qatar will host the 2022 FIFA World Cup football competition and is slated to tackle a variety of infrastructure projects, including the construction of new stadiums. (Photo by Sean Gallup/Getty Images)
বাড়ি নির্মাণ শিল্পে কার্যরত শ্রমিকরা...ছবি: Getty Images

অ্যামনেস্টির মতে, বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সামগ্রিকভাবেই শ্রমিকরা সে দেশে এমন অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছেন৷ এই পরিস্থিতি বদলাতে অ্যামনেস্টি ফিফার উদ্দেশ্যে কাতারের উপর চাপ সৃষ্টি করার ডাক দিয়েছে৷ তাদের মতে, বিশ্বকাপের সঙ্গে যুক্ত কোনো নির্মাণ প্রকল্পে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে ফিফা যে সেটা মেনে নেবে না – কাতারের শাসকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে৷

DOHA, QATAR - OCTOBER 23: Window washers from Nepal abseil down the curved facade of the Tornado Tower (L) on October 23, 2011 in Doha, Qatar. The Tornado Tower is 52 storeys high, built by Munich-based SIAT Architekten and is among Doha's landmarks. Qatar will host the 2022 FIFA World Cup football competition. (Photo by Sean Gallup/Getty Images)
কাতারে জানালা পরিষ্কার করছে শ্রমিকরা...ছবি: Getty Images

গত ৯ই নভেম্বর দোহায় কাতারের এমির ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর ফিফার প্রধান সেপ ব্লাটার বলেছেন, শ্রমিকদের সমস্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ কাতারি কর্তৃপক্ষও অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে৷ এমনকি তারা এক আন্তর্জাতিক সংস্থাকে গিয়ে বিদেশি শ্রমিকদের অবস্থা খতিয়ে দেখছে৷ অ্যামনেস্টির রিপোর্টকেও এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে বলে দাবি করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ৷

কাতারের নির্মাণ শিল্পক্ষেত্র নিয়ে বহুদিন ধরেই সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ প্রচলিত আইন তারা কৌশলে পাশ কাটিয়ে চলে৷ সাব-কনট্র্যাক্টর কোম্পানিকে দিয়ে শ্রমিক আনিয়ে অনেকেই নিজেদের দায় এড়িয়ে যায়৷ তাছাড়া ‘কাফালা' নামের যে স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা চালু রয়েছে, তার আওতায় বিদেশি শ্রমিকদের কোনো অধিকার প্রায় নেই বললেই চলে৷ স্পন্সরের অনুমতি ছাড়া অন্য সংস্থায় কাজ করা বা দেশ ছাড়তে পারেন না তাঁরা৷ এই সময়কালে তাঁদের কাছে পাসপোর্টও থাকে না৷ এছাড়া, স্থানীয় লেবার কোর্টের দ্বারস্থ হতে গেলে যে অর্থ জমা দিতে হয়, তা দেবার মতো সামর্থ্যও শ্রমিকদের থাকে না৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য