1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১ মে ২০১৩

১লা মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস৷ তাই এই দিনে, বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তার দাবিই প্রধান হয়ে উঠেছে৷ বিশেষ করে পোশাক শিল্পে আগুন এবং ভবন ধসে বার বার শ্রমিকদের মৃত্যু বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছেন সবাই৷

https://p.dw.com/p/18Q8h
Garment workers shout slogans as they block a street during a protest to demand capital punishment for those responsible for the collapse of the Rana Plaza building in Savar, outside Dhaka April 30, 2013. Rescue officials in Bangladesh said on Tuesday they had given up hope of finding more survivors from a garment factory complex that collapsed killing hundreds, as the government came under pressure to do more to enforce building safety standards. REUTERS/Khurshed Rinku (BANGLADESH - Tags: DISASTER CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

বাংলাদেশের শ্রম আইনে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাধ্যতামুলক৷ কিন্তু শিল্প-কারখানার মালিকরা তা মানছেন না৷ এ কারণে সাভারের রানা প্লাজার হিসেব ধরে গত ১১ বছরে শুধু তৈরি পোশাক কারখানাগুলিতেই ১২০০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে৷

মজুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইকতেদার আহমেদ ডয়চে ভেলেকে জানান, মালিকরা শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করছেন৷ শ্রমিকরা গরীব হওয়ায়, তারাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন৷ আর প্রতি বছরই তারা হারাচ্ছেন প্রাণ৷ এর বিরুদ্ধে শ্রম আইন ছাড়াও দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ থাকলেও, ব্যবস্থা নেয়ার তেমন কোনো নজীর নেই৷ তিনি বলেন, আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবনে কোনো শিল্প কারাখানা গড়ে তোলার সুযোগ নেই৷ এমনকি, আইনও অনুমোদন করা হচ্ছে না৷ অথচ দেশে শিল্প কারাখানা গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবনে৷

বিষয়টা দেখার জন্য শিল্প মন্ত্রণালায়সহ কল-কারখানা পরিদর্শন বিভাগ আছে৷ কিন্তু তারাও কোনো কাজ করছে না৷ যার পরিণতি শ্রমিকদের মৃত্যু৷ ইকতেদার আহমেদ বলেন, সাভারের রানা প্লাজা একটি বাণিজ্যিক ভবন৷ এর মানে হলো, সেখানে দোকান পাট ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অফিস থাকতে পারবে৷ কিন্তু সেখানে পাঁচটি গার্মেন্টস গড়ে উঠেছিল৷ তিনি বলেন, যারা এই ভবনে গার্মেন্টস শিল্প গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছেন, তারা কোনোভাবেই তাদের দায় দায়িত্ব এড়াতে পারেন না৷

ইকতেদার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে যত কম মূল্যেই আমরা পোশাক দেইনা কেন, শেষ পর্যন্ত আমাদের পোশাকসহ শিল্প খাতে বিপর্যয় নামতে বাধ্য৷ কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তার যে চরম অবহেলা – তা আর গ্রহণ করবে না উন্নত বিশ্ব৷

তিনি আরো বলেন, এই চরম ঝুঁকির মধ্যে কাজ করলেও শ্রমিকদের মজুরি দেয়া হয় খুবই কম৷ ২০১০ সালে পোশাক শিল্পে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০০০ টাকা৷ কিন্তু গত তিন বছরে তাদের বেতন না বাড়লেও মূল্যস্ফিতি হয়েছে কয়েকগুণ৷ তাই তিনি মনে করেন, মূল্যস্ফিতির সঙ্গে সমন্বয় করে শ্রমিদের বেতন বাড়ানো দরকার৷

এদিকে, রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা ডয়চে ভেলেকে জানান, ঢাকার অর্ধেকের বেশি তৈরি পোশাক কারখানা আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবনে ৷ ফলে বার বার আগুন ও ভবন ধসসহ নানা দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে৷ এ জন্য তারা ইতিমধ্যেই তালিকা করে নোটিশ দেয়া শুরু করেছেন৷ এতে বলা হয়েছে: আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবন থেকে তৈরি পোশাকসহ সব শিল্প কারাখানা সরিয়ে নিতে হবে৷ আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরিয়ে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, জানিয়েছেন নূরুল হুদা৷

সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশানস-এ আগুনের ঘটনার পর বিজিএমইএ তৈরি পোশাক কারখানার ভবনগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখতে এটি টাস্কফোর্স গঠন করে৷ কিন্তু সেই টাস্কফোর্সের কাজ আজও বিশেষ এগোয়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য