1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাক চেনে মানুষের আসল চেহারা

১ জুলাই ২০১১

অনেক ছোট একটি পাখিরও কিন্তু অনেক ধরণের ক্ষমতা থাকে৷ অথচ আমরা কখনোই তা স্বীকার করি না বা দেখতে চাই না৷ অন্যদিকে, প্রাণীরা কিন্তু শুভ এবং অশুভ - উভয় প্রভাবের ঈঙ্গিত অনেক আগে থেকেই বুঝতে পারে৷ সেদিক থেকে কাক রয়েছে শীর্ষে৷

https://p.dw.com/p/11n2i
তাই কাকের সাথে ভালো করে পরিচয় থাকা দরকার!ছবি: picture-alliance / dpa/dpaweb

সিয়াটল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিজ্ঞানী কাকের আচার-আচারণ নিয়ে গবেষণা করছেন বছরের পর বছর ধরে৷ তাঁরা জানান, অশুভ কোন কিছু দেখলেই কাকগুলো অস্থির হয়ে পড়ে৷ ডানা জাপটাতে থাকে, কর্কশ গলায় চিৎকার শুরু করে৷

প্রশ্ন - কে শুভ বা কি শুভ তা ঐ কাকগুলো বোঝে কী করে? গবেষকরা কয়েক ধরণের মুখোশ তৈরি করেন৷ বুনো মানুষ, মানুষের কঙ্কাল থেকে শুরু করে খুব সাধারণ দেখতে মানুষ – সব ধরণের মুখোশ৷ এরপর সাতটি কাককে জড়ো করা হয়৷ তারপর কাকগুলোর সামনে দিয়ে বুনো মানুষের মুখোশ পড়িয়ে একজনকে পাঠানো হয়৷ শুরু হয়ে যায় তান্ডব৷ বোঝা যায়, ভয়ঙ্কর মুখোশই কাকগুলোকে অস্থির করে তুলেছে৷

এরপর সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি'র মুখোশ পড়ে আরেকজন কাকগুলোর সামনে দিয়ে হেঁটে যায়৷ তখন কাকগুলো পুরোপুরি শান্ত থাকে৷ তারও পরে আরো একচল্লিশটি কাক ধরে আনা হয় এবং তাদের বেঁধে একই পরীক্ষা চালানো হয়৷ এবারও দেখায় যায় যে, ভয়ঙ্কর চেহারের মুখোশ দেখতেই কাকগুলো কর্কশ গলায় ডাকাডাকি শুরু করেছে৷

এ বিষয়ে অধ্যাপক জন মার্জলাফ জানান, অন্য আরেকটি জায়গায় আমরা প্রায় ছয় মাস কাকগুলোকে পর্যবেক্ষণ করি৷ সেখানে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কাকের মধ্যে অস্থির আচরণ আমরা লক্ষ্য করি৷ এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যে সব কাক খুব উগ্র আচরণের হয়, দেখা গেছে সেই কাকের বাচ্চাগুলোও মায়ের স্বভাব পায়৷ এবং অশুভ কিছু দেখলে উচ্চস্বরে চিৎকার, ডানা ঝাপটানো ইত্যাদি মাকে দেখেই শেখে৷

তবে এর পেছনে মানুষও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ বেশ কিছু জায়গায় দেখা গেছে যে, কাক দেখলেই অনেকে খাবার বা দানা ছিটিয়ে দেয়৷ সেসব জায়গার কাক শান্ত থাকে, মানুষ দেখলে ভয় পায় না৷ অথচ এর পুরো বিপরীত ঘটনা ঘটতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো জায়গায়৷ যেমন, সেখানকার বহু গ্রামবাসী নাকি কাক দেখলেই পিস্তল নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন৷ তাহলেই বুঝুন!

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক