1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কম্পিউটার যখন পুলিশের গোয়েন্দা

আন্ড্রেয়াস নয়হাউস/এসি২২ মার্চ ২০১৪

মিউনিখের মতো একটি বড় শহরে চুরি-ডাকাতির মতো মামুলি অপরাধের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে একটি কম্পিউটার বলে দিতে পারে, এর পরে ঠিক কোন এলাকায় চুরি হবে! এ যেন ‘‘মাইনরিটি রিপোর্ট’’ ছবিতে টম ক্রুজের কেরামতির মতো৷

https://p.dw.com/p/1BTNG
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb

হলিউডের ছবিতে কল্পনাশক্তির অভাব ঘটে না৷ ‘‘মাইনরিটি রিপোর্ট'' ফিল্মটিতে ভবিষ্যতের পুলিশকর্মী টম ক্রুজ অপরাধ ঘটার আগেই তা রোধ করেন এবং সম্ভাব্য অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে থাকেন৷ প্রচুর পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে এটা করা সম্ভব৷ কম্পিউটার প্রোগ্রামে বিভিন্ন ধরনের তথ্য মিলিয়ে দেখে, কোন জায়গায় অপরাধ সংঘটিত হতে পারে৷ এমনকি তার সঠিক সময়ও বলে দিতে পারে, ভবিষ্যৎ অপরাধীর ছবিও ছেপে দিতে পারে!

এ সব সত্যিই সম্ভব কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখছেন জার্মানির উল্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা, যেমন এভগেনি স্পদারেভ৷ স্পদারেভ যে গাণিতিক প্রোগ্রামগুলি সৃষ্টি করেন, তার সাহায্যে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায়, কোথায় অপরাধ ঘটতে পারে৷ অপরাধ সংক্রান্ত পুলিশি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই কম্পিউটার তা গণনা করে বার করে৷ কাজেই পুরোটা দৃশ্যত হলিউডের কষ্টকল্পনা নয়৷

Minority Report Film
‘‘মাইনরিটি রিপোর্ট'' ছবির একটি দৃশ্যছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library

‘বিপজ্জনক' এলাকা

স্পদারেভ বলেন: ‘‘হয়তো এভাবে আরো কিছুটা এগনো যায়, কিন্তু সম্ভাব্য অপরাধীকে আগেভাগে শনাক্ত করা আজও সম্ভব নয়৷ শুধু স্ট্যাটিস্টিক্সের মাধ্যমে তা বলাও সম্ভব নয়৷ পরিসংখ্যান যে নিয়মগুলোকে চেনে, সেগুলো চলে বহু'র ভিত্তিতে এবং শুধু সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই অপরাধের ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব৷'' কাজেই উল্মের গবেষকরা চুরি-ডাকাতির মতো ব্যাপক অপরাধগুলির উপর নজর দিয়েছেন৷ কম্পিউটার প্রোগ্রামে যে সব এলাকাগুলি বিশেষভাবে ‘বিপজ্জনক' বলে চিহ্নিত হচ্ছে, পুলিশ সেই সব এলাকায় বেশি টহল দেবে৷ শুধু সেভাবেই এ ধরনের অপরাধ অনেকটা কমানো সম্ভব৷

স্পদারেভ তাঁর ‘বিপজ্জনক' এলাকাগুলির মানচিত্র সৃষ্টি করার জন্য সে এলাকায় বেকারত্ব, বিদেশি-বহিরাগতদের অনুপাত, লোকবসতির ঘনত্ব ইত্যাদির পরিসংখ্যান বিবেচনা করেন – যেমন এখানে মিউনিখ শহরের জন্য৷ এ থেকে আগামী সপ্তাহে কোথায় কোথায় চুরি-ডাকাতি হবে, তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায়৷ ‘‘মাইনরিটি রিপোর্ট'' কিন্তু আরো এক ধাপ বেশি গিয়েছে৷ ফিল্মে গোয়েন্দারা ভবিষ্যৎ অপরাধীদের ছবিই দেখতে পাচ্ছেন – দেখতে পাচ্ছেন কীভাবে সেই অপরাধ সংঘটিত হবে৷ হয়তো একটা নিত্যনৈমিত্তিক পরিস্থিতি থেকেই হঠাৎ বিপদের সৃষ্টি হতে পারে৷ সেটা কীভাবে আগে থেকে আঁচ করা যায়, সেটাই আবিষ্কার করতে চান আউগ্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়র্গ হেনার৷

অপরাধীর চেতনায়

হেনার একটি ভিডিও প্রণালী উদ্ভাবন করছেন, যা নিজে থেকেই সম্ভাব্য বিপদের সংকেত দেয়৷ প্রণালীটি পথচারীদের চলাফেরা, নড়াচড়া বিশ্লেষণ করে লক্ষণীয় যা কিছু, তা বার করে নেয় এবং তা থেকে সম্ভাব্য বিপদের আভাস দিতে পারে৷ হেনার বলেন: ‘‘কিছু যে ঘটতে পারে বা ঘটতে চলেছে, এই ভিডিও প্রণালী থেকে তার পূর্বাভাস পাবার চেষ্টা করা যেতে পারে৷ ভিডিও প্রণালী দিয়ে তো আর মানুষের মাথায় কী চিন্তা ঘুরছে, তার আঁচ পাওয়া যায় না৷ সেটা কেউ চায় না এবং তা ঘটবেও না৷ কিন্তু প্রচেষ্টা হল, বিপদের লক্ষণ বুঝে নিরাপত্তা কর্মীদের মনোযোগ সেই সব বিশেষ পরিস্থিতির দিকে আকর্ষণ করা৷''

যেমন শপিং মল, ফুটবল স্টেডিয়াম কিংবা প্রতিবাদ সমাবেশে৷ ক্যামেরার সঙ্গেই কম্পিউটার বসানো আছে, সেই কম্পিউটারই নিজে থেকে ঠিক করে কোন ক্যামেরা সক্রিয় হবে এবং সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধির উপর নজর রাখবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য