1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কনডম চুরি ঠেকাতে পাহারা মুম্বাইয়ে!

৬ জানুয়ারি ২০১০

ভেন্ডিং মেশিন ভেঙে ছিঁচকে অপরাধীদের কনডম চুরির হিড়িকে উদ্বিগ্ন মুম্বাইয়ের এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ কর্মীরা৷ উপায়ন্তর না দেখে এখন পাহারা বসানো হচ্ছে রাস্তায় রাস্তায় কনডম ভেন্ডিং মেশিনে৷

https://p.dw.com/p/LMAJ
কনডমের প্যাকেট

ভারতের বাণিজ্যক রাজধানী মুম্বাইয়ে এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৩,০০০ এরও বেশি কনডম ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে৷

যৌন সংশ্রব নিরাপদ করার লক্ষ্যে সহজে ও সুলভে কনডম প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আন্তঃরাজ্য ট্রাকচালক এবং যৌনকর্মীদের আনাগোনা বেশি এমন স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে এসব মেশিন বাসানো হয়৷ ভারতে এইডস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম বাহক বলে মনে করা হয় এসব আন্তঃরাজ্য ট্রাকচালকদের৷

উদ্যোক্তরা জানাচ্ছেন, ৩,০০০ মেশিনের মধ্যে প্রায় ৫০০ মেশিনও ভেঙ্গে ফেলেছে ছিঁচকে অপরাধীরা৷ তাঁদের ধারণা অনেক ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ফুর্তি করার জন্য কিংবা খুচরা পয়সার প্রয়োজনে অথবা একেবারে বিনামূল্যে কনডম পেতেই এসব মেশিন ভাঙা হচ্ছে৷ এমনকী দিওয়ালি উৎসবে আতশবাজির সময়ে পটকা ফাটিয়ে অনেক মেশিনের ক্ষতি করা হয়েছে৷

Ein Mann bemalt seinen Körper mit roten Schleifen und Botschaften anlässlich einer Aufklärungskampagne zu HIV
বিশ্ব এইডস দিবসে এক ভারতীয়ছবি: UNI

বিভিন্ন এনজিও'র সঙ্গে সহযোগিতায় এসব মেশিন সরবরাহকারী ‘হিন্দুস্তান ল্যাটেক্স ফ্যামিলি প্ল্যানিং প্রমোশন ট্রাস্টস্' এর রাজেশ নাইনাকাওয়াল অবশ্য মনে করেন, কনডম ভেন্ডিং মেশিন ভাঙার অন্য অনেক কারণও থাকতে পারে৷ তিনি জানান, ওইসব স্পশর্কাতর এলাকায় ট্রাকচালক ও যৌনকর্মীদের পাশাপাশি অনেক মাদকাসক্তেরও আনাগোনা রয়েছে৷ যদিও একটা ভেন্ডিং মেশিনে কখনোই ১০০ রুপির বেশি জমা থাকে না৷ কিন্তু ছিঁচকে অপরাধীরা হয়তো মেশিন ভেঙ্গে মাদক কেনার জন্য সেগুলো বিক্রি করতে পারে৷

নাইনাকাওয়াল বলেন, ‘‘কেউ কেউ হয়তো বিনামূল্যে কনডম পেতেই ভাঙ্গছে আবার অনেকে হয়তো এই ধারণার বিরোধিতা করতেই এটা ভেঙে থাকতে পারে৷ কেননা কনডম ব্যবহার নিয়ে এখনও এই সমাজে এক ধরণের সংকোচ রয়ে গেছে৷''

উদ্যোক্তারা এখন বাধ্য হয়েই বেশি স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে কনডম ভেন্ডিং মেশিনে পাহারা বসানোর চেষ্টা করছেন৷ মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাই ভারতের সবচেয়ে বেশি এইডস আক্রান্ত এলাকাগুলোর অন্যতম৷

প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক