1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওরা কিন্তু খেলে জীবন বাজি রেখে...

২৫ জুলাই ২০১৩

ফুটবল মাঠে মা কেঁদে কেঁদে বলছেন, ‘‘আমাদের সন্তানদের কেন মারে তারা? ওদের জীবনে তো ফুটবল ছাড়া কিছুই নেই৷’’ খেলতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে শিশুদের, তারপরও ফুটবল থেমে নেই ইরাকে৷ জীবন বাজি রেখেই খেলছে ইরাকের ফুটবলাররা৷

https://p.dw.com/p/19DiA
ছবি: AFP/Getty Images

বাগদাদের শুয়ালা অঞ্চলের মাঠে যেতেই হয় উম ইব্রাহিমকে৷ সেই মাঠই যে বহন করছে তাঁর ১৩ বছর বয়সি ছেলের অন্তিম সময়ের স্মৃতিচিহ্ন! ছেলের দেহ খণ্ডবিখণ্ড হয়ে গিয়েছিল বোমা বিস্ফোরণে৷ মা হয়ে সন্তানের মুখটিও দেখতে পাননি উম ইব্রাহিম৷ মাঠে রয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে বোমা হামলায় মারা যাওয়া ১৮টি শিশুর ছবি, স্মৃতিফলক, কিছু ফুল আর ইরাকের পতাকা৷ উম ইব্রাহিমের মতো আরো অনেকেই সেখানে যান, কাঁদেন আর একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে খুঁজে হয়রান হন, ‘‘শিশুরা তো নিষ্পাপ৷ কোনো দোষ ছিল না ওদের৷ তবু কেন মারা হলো ওদের? ''

ঠিক এই প্রশ্নটিই রেখেছেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট আবু আমির৷ ১১, ১২ আর ১৫ বছর বয়সি তিন ভাতিজাকে হারিয়েছেন তিনি ওই বোমা বিস্ফোরণে৷ ভবিষ্যতে আর যাতে কোনো শিশুর প্রাণ এভাবে না ঝরে সে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাতে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি৷ বলেন, ‘‘মাঠগুলোকে দুষ্কৃতকারী বেজন্মাদের হাত থেকে রক্ষা করুন৷''

ইরাকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা আবার বাড়ছে৷ এ বছরের প্রথম সাত মাসে গোপনে পেতে রাখা বোমা কেড়ে নিয়েছে ২ হাজার ৯০০ মানুষের প্রাণ৷ ফুটবল মাঠ এবং টেলিভিশনে ফুটবল ম্যাচ দেখানো হয় এমন ক্যাফেগুলোতেও হামলা হচ্ছে নিয়মিত৷ বর্বরোচিত ঘটনার পর অনেক বাবা-মা-ই মাঠে সন্তানদের পাঠানো ছেড়ে দিয়েছেন৷ গত মাসে বোমা হামলায় পাঁচজন নিহত এবং ১০ জন আহত হওয়ার পর, বাগদাদের জাফরানিয়ার মাঠেও খেলা হয়নি প্রায় দু'মাস৷ সম্প্রতি আবার ফুটবলাররা আসতে শুরু করেছেন মাঠে৷ জাফরানিয়া ফুটবল দলের অধিনায়ক সাইফ আব্দুল্লাহ হুসেইন বললেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদীরা চায় যে আমরা খেলা ছেড়ে তাদের পথ ধরি, কিন্তু আমরা খেলা বন্ধ করবো না৷''

এসিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য