1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের পথে তুরস্ক এবং আর্মেনিয়া

১০ অক্টোবর ২০০৯

তুরস্ক এবং আর্মেনিয়া দীর্ঘ এক শতকের বিরোধ মিটিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে৷ তবে এই চুক্তি বাস্তবায়নের পূর্বে উভয় দেশের সংসদে অনুমোদিত হতে হবে৷

https://p.dw.com/p/K3j6
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তুর্কি ও সুইস পররাষ্টমন্ত্রীছবি: AP

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সুইস মধ্যস্থতার ফল হিসেবে শনিবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখে স্বাক্ষরিত হবে এই চুক্তি৷ চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে জুরিখে উপস্থিত হয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান খাবিয়ের সোলানা৷ এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু হবে এবং আর্মেনীয়-তুর্কি সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে৷ ১৯৯৩ সালে নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধের সময় ঐ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ উল্লেখ্য, ১৯১৫ সালে ওটোমান শাসনামলে আর্মেনিয়ায় সংঘটিত গণহত্যার প্রেক্ষিতেই দুই দেশের মধ্যে তীব্র বিরোধ চলে আসছিল৷

ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান এবং ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তুরস্ক এবং আর্মেনিয়ার এই উদ্যোগ ব্রাসেলসের সাথেও তাদের সম্পর্ক আরো জোরদার করবে৷ খাবিয়ের সোলানা বলেন, এটা প্রত্যেকের জন্যই ভালো৷ এটা আঞ্চলিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করি৷ ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কুশনার বলেন, সকল শান্তি চুক্তিই রাষ্ট্রসমূহকে আরো কাছাকাছি নিয়ে আসে৷ এই চুক্তির তুরস্ক এবং ইইউ'কেও আরো কাছাকাছি নিয়ে আসবে৷ কুশনার আশা প্রকাশ করেন যে, এই বছরের মধ্যেই তুরস্ক এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে৷

এদিকে, তুরস্ক-আর্মেনিয়া চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে হাজার হাজার আর্মেনীয় নাগরিক৷ শুক্রবার আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভেনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ রাজপথে এই চুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ এছাড়া লেবাননের রাজধানী বৈরুতেও হাজার হাজার আর্মেনীয় বিক্ষোভ করেছে শনিবার৷ বিক্ষোভকারীরা বৈরুতে তুর্কি দূতাবাস ঘেরাও করে রাখে৷ তাদের হাতে আর্মেনিয়ার পতাকা এবং ফেস্টুন ছিল৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার