1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদক ছাড়াই জনপ্রিয়তার শীর্ষে

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

যে দেশের মহিলা ফুটবলাররা তাঁদের প্রথম তিনটি ম্যাচে ৩৮টি গোল খেয়েছেন – কোনো গোল না করে৷ যাদের হ্যান্ডবলাররা জাপানের কাছে হেরেছে ৭৯-০ গোলে৷ সাড়ে তিন লাখ হাসিখুশি মানুষের দেশ: মালদ্বীপ৷

https://p.dw.com/p/1DJkc
Asienspiele 2014 Eröffnung 19.09.2014 Incheon
ছবি: Reuters/Kim Kyung-Hoon

বিশ্বের নানান কোণ থেকে আগত অতিথিরা ভারতের পশ্চিম উপকূলে ছড়ানো-ছিটোনো যে স্বপ্নের দ্বীপগুলিতে মধুচন্দ্রিকা পালন করে থাকেন, সেখান থেকে ১৪২ জন অ্যাথলিট এসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন-এ, এশিয়ান গেমস উপলক্ষ্যে৷ বলতে কি, সেটাই একটা অ্যাচিভমেন্ট বা অর্জন বলে গণ্য করেন দলনেতারা৷

বলতে কি, সবচেয়ে বড় অর্জন, কেননা মেডেলের তালিকায় মালদ্বীপকে পাওয়া যাবে না৷ তবে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তার যদি কোনো ‘প্রাইজ' থাকে, তাহলে মালদ্বীপের একটা ভালো ‘চান্স' ছিল বৈকি৷ না জিতেই, জেতা তো দূরের কথা, গো-হারা হেরে দক্ষিণ কোরিয়ার দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন মালদ্বীপের চরম অপেশাদারী ক্রীড়াবিদরা৷

অন্য সুইমাররা পুল ছেড়ে উঠে যাবার অনেকক্ষণ পর পর্যন্ত মালদ্বীপের সাঁতারুদের দেখা যাবে, পানির সঙ্গে যুদ্ধ করতে৷ নিশওয়ান ইব্রাহিম ২০০ মিটার মেডলে শেষ করতে সময় নেন দু'মিনিট ৪৫ দশমিক ২৩ সেকেন্ড – যার পর দর্শকরা তাঁকে ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন' দেন৷ ইব্রাহিমের সময় ছিল সেই হিটে দ্রুততম সাঁতারুর সময়ের চেয়ে ৪৫ সেকেন্ডের বেশি৷ তায় আবার ইব্রাহিমকে একটি ভুল মোড় নেওয়ার দরুণ ডিসকোয়ালিফাই করা হয়৷ ‘‘কোনো মানে হয়?'' হেসে বলেছেন ইব্রাহিম, ‘‘আমি তো এমনিতেই লাস্ট ছিলাম৷''

Flash-Galerie Luxus-Resorts
মালদ্বীপের সাঁতারুদের প্র্যাকটিস করতে হয় সাগরেছবি: traveller - Fotolia

মুশকিল হলো এই যে, মালদ্বীপের সাঁতারুদের প্র্যাকটিস করার জন্য কোনো পুল নেই৷ তাঁদের ট্রেনিং করতে হয় সাগরে, তা-ও আবার রাতে! ইব্রাহিম নিজেই বলেছেন: ‘‘আমরা সাগরে সাঁতার কাটি৷ সেখানে স্রোত আছে, প্রচুর আবর্জনা আছে, তার ওপরে আছে অন্ধকার৷ আমাদের তো কোনো সুইমিং পুল নেই৷ এখানকার পুল সত্যিই অন্যরকম৷ এখানকার পুলে সাঁতার কাটা শক্ত, অথচ সাগরের নোনা জলে ভেসে থাকা সহজ৷''

সাঁতারের কোচ ইসমাইল ফারুহান জানিয়েছেন যে, সাঁতারুদের ট্রেনিং-এর জন্য সাগরে ফ্লোট দিয়ে একটি ২৫ মিটারের পুল তৈরি করা হয়েছিল৷ তা-তে কোনো টাচপ্যাড ছিল না৷ সাঁতারুদের সন্তরণ করতে হয় মাছেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, জলের তলায় থাকে প্রবাল৷ অন্ধকারে সাগরের জলে সাঁতার কাটতে গিয়ে মালদ্বীপের মহিলা সাঁতারু দলের নেতা আইশাথ সজিনার রীতিমতো ভয় করত, বলে তিনি জানিয়েছেন৷ তাঁর বিশেষ ভয় ছিল মাছগুলোকে: ‘‘পুল থেকে বেরোতে পারলে বাঁচি!''

মহিলাদের চারবার একশো মিটার ফ্রিস্টাইল রিলের হিটে সজিনা বিজয়ী জাপানের প্রায় দেড় মিনিট পরে এসে টাচপ্যাড ছোঁন: দর্শকরা তখন হাততালি দিয়ে, হর্ষধ্বনি করে তাঁকে বিজয়ীর অভ্যর্থনা জানান৷ কিন্তু সজিনা যে ইনচনে যেতে পেরেছেন, সেটাই তো হলো বড় কথা৷ মুসলমান দেশ মালদ্বীপ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তাদের সব দলের এক-তৃতীয়াংশ হবে মহিলা৷ মালদ্বীপের ১৪২ জন অ্যাথলিটের মধ্যে ৫০ জনের বেশি মহিলা – যেখানে সৌদি আরবের দলে একজনও মহিলা নেই, আর ইরানের দলের মাত্র ২০ শতাংশ হলেন মহিলা৷

এসি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য