1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার হাতের কাছে বিল গেটস

২১ জানুয়ারি ২০১০

‘হ্যালো ওয়ার্ল্ড’ - ১৯ জানুয়ারী টুইটারে বিল গেটসের নিজ হাতে লেখা প্রথম বার্তা এটি৷ আর তারপরই গোটা কয়েক বার্তা আদান প্রদান যার বিষয় হাইতি৷ সেইসঙ্গে ভারত সফর নিয়ে ওয়েব লিংক৷ এভাবেই টুইটার দিয়ে সামাজিক বিশ্বে ফিরলেন গেটস৷

https://p.dw.com/p/LcH2
ছবি: AP

অনেকেই বলতে পারেন, আজগুবে! গেটসের মতো ব্যস্ত লোক টুইটারে বসে থাকবেন? হতেই পারে না৷ তাদের জন্য বলছি, টুইটারে গেটসের পাতার ঠিক ডান পাশে একটি ছোট্ট টিক চিহ্ন দেখুন৷ অর্থাৎ একাউন্টটি পরীক্ষিত৷ একইসঙ্গে টুইটারের এক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন এই ব্যক্তি স্বয়ং মাইক্রোসফটের বিল গেটস৷

১৯ জানুয়ারী ওয়াশিংটনে সূর্য ডুবতে ডুবতেই টুইটারে গেটস নিজে ফলো করতে শুরু করেছেন ৪০ জনকে৷ তবে, আশ্চর্যজনক হলেও গত দুইদিনে গেটসকে কিন্তু ফলো করতে শুরু করেছে প্রায় আড়াই লাখ জন৷ এই সংখ্যা বাড়ছে বেশ দ্রুতই৷ আর তাই স্বভাবতই বলা যায়, মাইক্রোসফট থেকে অবসরে গেলেও জনপ্রিয়তার নিরিখে এখনও বেশ উপরেই অবস্থান গেটসের৷

সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর এক বড় দোষ বাণিজ্যের চেষ্টা৷ অর্থাৎ কর্পোরেটদের একের পর এক একাউন্ট দিয়ে লিংক পাঠাও আর সাধারণ ব্যবহারকারীকে আকৃষ্ট কর৷ গেটসও কিন্তু প্রথম পাঠানো কয়েক বার্তায় নিজের ওয়েবসাইট গেটসনোটস ডট কম এর মার্কেটিং শুরু করে দিয়েছেন৷ আর তাই ২১ জানুয়ারী পর্যন্ত টুইটারে তাঁর সর্বশেষ বার্তাটি ভারত সফর নিয়ে, সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত ওয়েবলিংক!

শুধু টুইটার নয়, ফেসবুকেও নতুন এক পাতা খুলে ফিরেছেন বিল গেটস৷ এবং সেটাও নাকি পরীক্ষিত৷ অবশ্য সেখানে গেটস তার ফাউন্ডেশনের নানা তথ্য জানাচ্ছেন ভক্তদের৷ টুইটারের মত ভক্ত না বাড়লেও সন্তোষজনক - ৬০ হাজারের মতো মানুষ ফেসবুকে গেটস এর ভক্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই৷

স্বভাবতই বলা যায়, টুইটার এবং ফেসবুকের কল্যাণে গেটস এখন সাধারণের হাতের নাগালে৷ অন্তত তাঁকে উদ্দেশ্য করে কোন বার্তা তাঁর পাতা দু'টোয় তুলে দিলে দেখতে পাবেন তিনি৷ আর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে বার্তার উত্তর মিলে যেতে পারে খোদ গেটসের কাছ থেকে৷ সুতরাং, দেখুন না চেষ্টা করে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী