1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মসলায় কমবে হাইপারটেনশন

৩০ জুন ২০১৪

কয়েক ধরনের মসলা দিয়ে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করে পরীক্ষাগারে ইঁদুরের রক্তচাপ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা, যাঁর মধ্য দিয়ে ক্রনিক হাইপারটেনশনের চিকিৎসায় তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন নতুন আশার আলো৷

https://p.dw.com/p/1CRvW
12.02.2014 DW FIT UND GESUND Bluthochdruck
ছবি: Fotolia

এই গবেষক দলের নেতা কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ এস থানিকাচালাম জানান, ভারতীয় উপমহাদেশে রান্নায় ব্যবহৃত সাধারণ মসলা ব্যবহার করেই তাঁরা এ গবেষণা চালিয়েছেন৷ আদা, এলাচ, জিরা, মরিচ বা লঙ্কা, শ্বেতপদ্মের পাপড়িসহ কিছু উপাদান মিশিয়ে তাঁরা ইঁদুরকে খেতে দিয়েছেন খাবারের সঙ্গে৷

‘‘গবেষণায় আমরা দেখেছি, ওই খাবারে ইঁদুরের শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ডে অনেক পরিবর্ত এসেছে৷ বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটা কমে এসেছে৷''

থানিকাচালাম চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান৷ তিনি জানান, তাঁদের তৈরি করা ওষুধে কেবল ইঁদুরের রক্তচাপই নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস'-ও কমে এসেছে৷

ভারতের গবেষকরা মূলত কাজ করেছেন রেনোভাসকুলার হাইপারটেনশন নিয়ে৷ কিডনির ধমনী সরু হয়ে গেলে এ ধরনের হাইপারটেনশন এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়৷

ভারতে হাইপারটেনশন খুব সাধারণ একটি রোগ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের শহর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রতি চার জনে একজন হাইপারটেনশনের রোগী৷ কিন্তু ওষুধের উচ্চমূল্য ও বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে অনেকেই নিয়মিত চিকিৎসা নেন না৷

উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ভারতীয় মসলা নিয়ে গবেষণা এটিই প্রথম নয়৷ এর আগে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, স্ট্রোকের পর মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে হলুদ ভালো ফল দিতে পারে৷

থানিকাচালাম জানান, এবারের গবেষণায় তাঁরা মসলার যে মিশ্রণটি ব্যবহার করেছেন, প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যেও তার উল্লেখ রয়েছে৷

‘‘এ ধরনের ভেষজ ওষুধের ব্যবহার আমাদের এখানে চলে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে৷ বিজ্ঞানসম্মতভাবে এর ব্যবহারবিধি তৈরি করার কাজটিই কেবল বাকি৷''

বিজ্ঞানীরা এখন দেখবেন, এই ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে ইঁদুরের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর৷ এরপর তা পরীক্ষা করা হবে মানুষের ওপর৷ থানিকাচালাম জানান, দামে কম এবং কার্যকর একটি ওষুধ তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য৷

তাঁদের গবেষণাপত্রটি চিকিৎসা সাময়িকী এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি অ্যান্ড মেডিসিনের জুন সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়৷

জেকে/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য