1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক নজরে : মনমোহন সিং

১৬ এপ্রিল ২০০৯

মনমোহন সিং আবারও ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী৷ তাঁকে গণ্য করা হয় দায়িত্ব সচেতনশীল এক রাজনীতিক হিসেবে৷ গত পাঁচ বছর ধরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/HY3y
ড. মনমোহন সিংছবি: AP

দুই হাজার চার সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত ভারতের সংসদীয় নির্বাচনের পর প্রায় কেউই ধারণা করেন নি যে, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন৷ কংগ্রেস পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলেন না, হলেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনমোহন সিং৷ জন্মগতভাবে ইতালীয় সোনিয়া গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না বিরোধী দলের এই প্রতিবাদের মুখে তিনি সেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রী হলেন না৷ ১৯৯০ এর দশকের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও এর অধীনে মনমোহন সিং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ভারতের ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন৷ এরপর গত পাঁচ বছর ধরে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ ৭৬ বছর বয়সী সিং আসন্ন সংসদীয় নির্বাচনে আবারও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী৷ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ থেকে আগামী ১৩ই মে পর্যন্ত৷

মনমোহন সিং হলেন আন্তরিক, ভদ্র- যা ভারতের রাজনীতির জন্য কোন পূর্ব-শর্ত নয়৷ তিনি আস্তে ধীরে কথা বলেন৷ তিনি ভাল বক্তা নন৷ তবে দায়িত্ব সচেতনশীল এক রাজনীতিবিদ৷ সিং জানেন কিভাবে সমস্যার সমাধান করতে হয়৷ আর তাই তিনি তাঁর কার্যকালে বহু সংকটের সমাধানে সক্ষম হয়েছেন৷ ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ছয় মাস পরেই দুই হাজার চার সালের ডিসেম্বরে সুনামির আঘাতে ভারতে আনুমানিক পনেরো হাজার মানুষের প্রাণহানী ঘটে৷ তাঁর সরকার সেই দুর্যোগ একক প্রচেষ্টায় মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়৷ দুই হাজার আট সালে তিনি বিতর্কিত ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেন প্রবল প্রতিবাদ সত্বেও৷ একই বছরের নভেম্বরে মুম্বাই শহরে তিনদিনের রক্তাক্ত পণবন্দী নাটকে মারা যায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ৷

ভারতের অর্থনৈতিক বিস্ময় গ্রাম গন্জের বহু মানুষের কাছে পৌঁছে নি৷ এখনও সত্তর শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল৷ কৃষকরা বহু সমস্যার শিকার হয়৷ তাই তিনি দুই হাজার সাত সালের ১৫ই আগস্ট ভারতের ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষণা করেন এক কৃষি কর্মসূচি৷ তিনি সে সময় বলেন : আগামী বছরগুলোতে কৃষি খাতের দিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দেব৷ আমি প্রচেষ্টা করব এই খাতে আমার ভাইদের উপার্জন বাড়াতে৷ আমি কৃষি কর্মসূচির পেছনে ব্যয় করব পাঁচশ কোটি ডলারেরও বেশি ৷

প্রতিবেদক: আবদুস সাত্তার, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ