1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলার জের

২১ আগস্ট ২০১১

আজ ২১শে আগষ্ট৷ ২০০৪ সালের এই দিনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তখনকার বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল৷ আজ জাতি নানাভাবে স্মরণ করছে সেই ভয়াবহ দিনটিকে৷

https://p.dw.com/p/12KpM
হামলার পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউছবি: DW

শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন সেই গ্রেনেড হামলায়৷ আহত হন ৩ শতাধিক নারী পুরুষ৷

একুশে আগষ্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনার তদন্ত নিয়ে শুরু থেকেই নানা নাটক হয়েছে৷ বিএনপির আমলে এই হামলার ঘটনায় তখন মামলা হলেও ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়৷ জজ মিয়া নামে এক নিরীহ লোককে আটক করে তাকে দিয়ে হামলার দায় আওয়ামী লীগের ঘাড়েই চাপানোর চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলার তদন্ত নতুন মোড় নেয়৷ জজ মিয়া ছাড়া পান৷ সেই জজ মিয়া ডয়চে ভেলেকে জানান কিভাবে তাকে দিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়েছিল৷ তার দাবী সিআইডির কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান এবং রুহুল আমিন এ কাজ করেছেন৷

জজ মিয়া জানান তাকে ৪ বছর ওই মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছিল৷ কারাগারে থাকার সময় সিআইডির কয়েকজন কর্মকর্তা তার পরিবারকে নিয়মিত টাকা-পয়সা দিত৷

হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে খুলে যায় গ্রেনেড হামলার জট৷ পরিষ্কার হয় সবকিছু৷ পরে সিআইডি অধিকতর তদন্ত করে বর্তমান সরকারের সময়ে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও জামাত নেতা মতিউর রহমান নিজামীসহ ৫২ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়৷ মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে গ্রেনেড হামলা এবং হামলার আগের ষড়যন্ত্রের কথা রয়েছে৷ সেই জাবানবন্দির অডিও রয়েছে ডয়চে ভেলের হাতে৷

আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার স্থলে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন৷ বিকেলে তিনি গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন৷ তিনি গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী