1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন নক্সার প্রবণতা

২৬ এপ্রিল ২০১৩

ভালেন্টিন হির্শ জার্মানির একজন শিল্পী৷ তাঁর সৃষ্টি ভিয়েনার প্রদর্শনী ভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন নামী গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে৷ বছর তিনেক ধরে তরুণ এই শিল্পী মানুষের ত্বককেই ক্যানভাস হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/18O2d
von Valentin Hirschছবি: DW

ঠিক যেন ইতিহাসের বই থেকে উঠে আসা জীবজন্তুর ছবি, সঙ্গে আবার জ্যামিতিক নক্সা৷ যারা উল্কি বা শিল্প ভালোবাসে, তাদের কাছে এমন কাজের বেশ কদর আছে৷ হির্শ বলেন, ‘‘কাগজের উপর আঁকলে যা করতাম, এখানেও তাই করছি৷ সৃষ্টির পিছনে ভাবনা একই৷ নিখুঁত ও নিপুণভাবে আমি ত্বকের উপর যন্ত্র চালিয়ে সেটাই সৃষ্টি করি, শিল্পী হিসেবে কাগজের উপর যেভাবে কাজ করতাম৷''

ভালেন্টিন হির্শ বার্লিনে কাজ করেন৷ উল্কির স্টুডিও ও আর্ট গ্যালারির নাম ‘আঁকা'৷ গোটা বিশ্বের উল্কি আঁকিয়েরা এখানে আসেন৷ তাঁদের মধ্যে অনেকেই আগে শুধু শিল্পী বা ডিজাইনার হিসাবে কাজ করতেন৷ তাঁদের টানে অনেকেই সেখানে ভিড় করেন, বিশেষ করে যাঁরা ভিন্ন ধারার উল্কি আঁকাতে চান৷ তাঁর মতে, এখানে বিশাল সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে৷ মানুষ হয় নিজেই সঙ্গে করে বিশেষ কোনো মোটিভ নিয়ে আসেন, অথবা এখানে এসে প্রত্যাশা অনুযায়ী কোনো মোটিভ বেছে নিতে পারেন৷ এখানে শিল্পীর এতই গুণ যে তিনি খুব জটিল নক্সা থেকেও উল্কি আঁকতে পারেন৷

Zeichnungen von Valentin Hirsch
একবার আঁকালে উল্কি ওঠানো কঠিনছবি: DW

ভালেন্টিন হির্শ প্রথমে কাগজে আঁকেন৷ তারপর সেটা ত্বকে খোদাই করেন৷ পারিশ্রমিক ঘণ্টায় ১০০ ইউরো৷ এমন উল্কির দাম পড়ে প্রায় ৩০০ ইউরো৷ বার্লিন তো বটেই, লন্ডন, প্যারিস, নিউ ইয়র্ক থেকেও অনেকে তাঁর কাছে উল্কি আঁকাতে আসেন৷ তাঁর শিল্প শৈলির পোশাকি নাম পয়েন্টিলিজম৷ ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে অসংখ্য বিন্দু দিয়ে এমন ছবি আঁকা হতো৷

এমন মোটিভ ফুটিয়ে তুলতে অনেক সময় লাগে৷ চিত্রশিল্পীও ক্যানভাসের উপর কোথাও আস্তে আস্তে, অস্পষ্ট রেখার আঁচড় দিতে শুরু করেন৷ তারপর সৃষ্টির মধ্যে ডুবে যাবার পর তার একটা রূপ ফুটে ওঠে৷ একটা পর্যায়ে এসে শিল্পী বুঝতে পারেন, কাজটা সত্যিই ভালো হচ্ছে৷

ভালেন্টিন হির্শ এমন এক প্রজন্মের উল্কি-শিল্পী, যাঁরা এই শিল্পকে আরও উঁচু পর্যায়ে নিয়ে গেছেন৷ সদ্য প্রকাশিত একটি বইয়ের মধ্যে উল্কির জগতের এই নতুন মাত্রা ফুটে উঠেছে৷ প্রাচ্য থেকে প্রতীচ্যের নানা শিল্প শৈলি সেখানে স্থান পেয়েছে৷

দুর্বোধ্য মোটিভ-এর কদরও বাড়ছে৷ কোথাও সামান্য কয়েকটা আঁচড়৷ কোথাও শিশুর আঁকা সরল ছবি৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষার নতুন উদ্যম দেখা যাচ্ছে৷ ভালেন্টিন জানালেন, ‘‘আজকাল বেশ একটা উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে৷ কেউ কিন্তু ভাবছে না, যে কোনো কিছু চিরকাল থেকে যাবে৷ মুহূর্তের আবেগের বশে সৃষ্টির একটা তাড়না দেখা যাচ্ছে৷''

বেশিরভাগ মানুষ অবশ্য এমন উল্কি চান, যা কোনো বিশেষ শৈলির সঙ্গে যুক্ত নয়৷ কারণ একবার উল্কি আঁকা হলে চটজলদি তা বদলে ফেলার কোনো সহজ উপায় নেই৷

এসবি/ডিজি