1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি

১ জুন ২০০৯

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতৃবৃন্দ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাকে বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এই পরীক্ষাকে উস্কানিমূলক বলে আখ্যায়িত করেছেন৷

https://p.dw.com/p/I1Xz
ছবি: AP

নেতৃবৃন্দ বলছেন, উত্তর কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব এশিয়াসহ গোটা বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে চরমভাবে বিঘ্নিত করছে৷ প্রেসিডেন্ট লি বলেন, উত্তর কোরিয়া যেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সে ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে৷ এছাড়া তিনি উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি থেকে ফিরিয়ে আলোচনার টেবিলে আনতে সোলের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন৷

দক্ষিণ কোরিয়ার সিওগিপো দ্বীপে সোমবার শুরু হওয়া দুইদিনের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতিসমূহের সংস্থা আসিয়ান এর সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই মন্তব্য করেন৷ আসিয়ান এর সাথে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সোল এই সম্মেলনের আয়োজন করে৷ তবে সাম্প্রতিক পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে এই সম্মেলনে অন্যান্য বিষয়কে ছাপিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রসঙ্গটিই বেশি করে সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে৷ এদিকে, উত্তর কোরিয়া আবারও একটি দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে৷

সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাক দক্ষিণ এশিয়ার সাথে তাঁর দেশের বাণিজ্য দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছেন৷ উদ্বোধনী বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট লি বলেন, বিশ্বায়নের প্রভাবের কারণে এশিয়ার জাতিসমূহের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং এই বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি বিশ্বাস করি৷

আসিয়ানের সাথে বর্তমানের ৯০ বিলিয়নের বাণিজ্য বাড়িয়ে আগামী ছয় বছরে বার্ষিক ১৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি৷ এছাড়া দক্ষিন কোরিয়া আসিয়ানকে দেয়া উন্নয়ন সাহায্য ২০১৫ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করে তা বার্ষিক ৪০ কোটি ডলার করারও ঘোষণা দিয়েছে৷ এ বিষয়ে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার আসিয়ানের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এই উদ্যোগের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া ২০১৫ সালের মধ্যে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো থেকে ৭ হাজার ছাত্র-ছাত্রী এবং শ্রমিককে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেবে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তথ্য ও টেলি যোগাযোগ খাতে উন্নয়নের জন্য নিজ দেশ থেকে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক পাঠাবে৷ উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার৷

প্রতিবেদক: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার