ইয়েমেনে অপহৃত জার্মান শিশুদের নতুন ভিডিওচিত্র
২৪ ডিসেম্বর ২০০৯গত জুন মাসে ইয়েমেনে বাবা-মার সঙ্গে শিশু তিনটিও অপহৃত হয়৷ তাদের বয়স এক, তিন এবং পাঁচ৷ এরপর থেকে বাবা ইয়োহানেস এবং মা সাবিনাসহ তাদের আর কোন হদিশ মেলেনি৷ এই পরিবারটির সঙ্গে জার্মান দুই ছাত্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিকও অপহৃত হয়েছিল সন্ত্রাসীদের হাতে৷ কিছুদিন পর ওই তিনজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে ইয়েমেনের নিরাপত্তা কর্মীরা৷ আশংকা করা হচ্ছিল তাদের মত জার্মান পরিবারটিকেও একই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে৷ তবে জার্মান পত্রিকা ‘বিল্ড'-এর সাম্প্রতিক এক খবরে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে৷ পত্রিকাটি জার্মান সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে সম্প্রতি একটি ভিডিও চিত্র জার্মান সরকারের হাতে এসেছে৷ তাতে অপহৃত ওই শিশু তিনটিকে দেখানো হয়েছে৷ কিছুদিন আগে তোলা ওই ভিডিওর কারণে মনে করা হচ্ছে শিশু তিনটি এখনও জীবিত৷ তবে তাদের বাবা ইয়োহানেস এবং মা সাবিনাকে দেখা যায়নি ভিডিওচিত্রটিতে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জার্মান এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভিডিওতে মনে হয়েছে শিশুগুলো অত্যন্ত পরিশ্রান্ত৷ তবে এই ব্যাপারে এখনও কোন ধরণের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে৷ তবে প্রকাশিত খবরকে অস্বীকারও করেনি জার্মান সরকার৷
এর আগে অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য জার্মান সরকার সাবেক রাষ্ট্রদূত ইয়ুর্গেন শোরবোগকে নিয়োগ দেয়৷ তিনি নিজেও ২০০৫ সালে অপহৃত হয়েছিলেন৷ উল্লেখ্য, গত ১৫ বছরে ইয়েমেনে দুই শতাধিক বিদেশী নাগরিক অপহৃত হয়েছে৷ তবে এদের বেশিরভাগকেই পরে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা৷
এদিকে ইয়েমেনের শিয়াপন্থী বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, সৌদি সরকার হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিলে তারা সৌদি ভূ খন্ড থেকে সরে যেতে প্রস্তুত৷ বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের মুখপাত্র মুহাম্মদ আবদেল সালাম বলেন, সৌদি আরব যদি তাদের এলাকা থেকে আমাদের ওপর আর কোন হামলা না চালায় তাহলে আমরা সরে যেতে প্রস্তুত৷ উল্লেখ্য, ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা সৌদি সীমান্তের আল জাবিরি গ্রামটি দখল করে নিয়েছে৷ মঙ্গলবার সৌদি উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী প্রিন্স খালেদ বিন সুলতান বিদ্রোহীদের সরে যেতে ২৪ ঘন্টা সময়সীমা বেধে দেন৷ তবে বিদ্রোহীরা সেই সময়সীমাকে উপেক্ষা করেছে৷ উল্লেখ্য, বিদ্রোহীদের সঙ্গে গত দেড় মাসের সংঘর্ষে ৭৩ জন সৌদি সেনা প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ