1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নমুনা সংগ্রহ

২৭ নভেম্বর ২০১২

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মঙ্গলবার ইয়াসির আরাফাতের দেহাবশেষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে৷ উদ্দেশ্য, ইসরায়েলি চর পোলোনিয়াম ব্যবহার করে তাঁকে হত্যা করেছিল কিনা তা যাচাই করা৷ পোলোনিয়াম হচ্ছে তেজস্ক্রিয় বিষ, যা সনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন৷

https://p.dw.com/p/16qU3
ছবি: picture-alliance/dpa

পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ'য় চির নিদ্রায় শায়িত ইয়াসির আরাফাত৷ ফিলিস্তিনিদের কাছে জাতীয় বীর তিনি৷ আট বছর আগে তাঁর শেষকৃত্য হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি৷ আরাফাত তখন চলে গেলেও তাঁর মৃত্যু নিয়ে রহস্য কাটেনি৷

অনেকেই বিশ্বাস করেন, তাঁকে কাপুরুষের মতো হত্যা করা হয়েছে৷ তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্তের পরও অনেকের এই বিশ্বাস বদলাবে কিনা বলা মুশকিল৷ তবে কেউ কেউ এত বছর পর আরাফাতের মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়ায় আক্ষেপ করেছেন৷ এদেরই একজন আহমেদ ইউসূফ৷ ৩১ বছর বয়সি এই নির্মাণ শ্রমিকের কথা হচ্ছে, ‘‘এটা ঠিক নয়৷ এত বছর পর আজকে তারা হঠাৎ করে সত্য জানতে আগ্রহী হলো? আট বছর আগেই তাদের এটা করা উচিত ছিল৷''

Arafat Mausoleum in Ramallah
অনেকেই বিশ্বাস করেন, তাঁকে কাপুরুষের মতো হত্যা করা হয়েছেছবি: Reuters

রামাল্লাহ'র প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছেই আরাফাতের সমাধি৷ মঙ্গলবার সেই সমাধির চারপাশটা নীল প্লাস্টিকে ঢেকে আরাফাতের মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড আর রাশিয়ার একদল বিশেষজ্ঞ এই সময় উপস্থিত ছিলেন৷

ফরাসি বিচারকরা গত আগস্টে আরাফাতের মৃত্যু হত্যাকাণ্ড ছিল কিনা তা তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন৷ ২০০৪ সালে প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন আরাফাত৷ এরপর সুইস ইন্সটিটিউট দাবি করে, ফিলিস্তিনিদের এই নেতার কাপড়ে উচ্চমাত্রার পোলোনিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে৷ একটি টেলিভিশন তথ্যচিত্র তৈরির জন্য এসব কাপড় সরবরাহ করেছিলেন আরাফাতের বিধবা স্ত্রী সুহা৷

সুইজারল্যান্ডের লোসান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আরাফাতের কাপড় পরীক্ষা করা হয়৷ সেখানকার মুখপাত্র ডার্সি ক্রিস্টিন বলেন, ‘‘কঠোর নিয়মনীতি মেনে নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং এসব নমুনা বিশ্লেষণ করা হবে৷'' বিশ্লেষণ করে তা পুনরায় নিশ্চিত হতে কয়েকমাস সময় লাগবে বলে মনে করেন ক্রিস্টিন৷ ফলে আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিল মাসের আগে এসব নমুনা থেকে প্রাপ্ত সত্যিকারের ফলাফল সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যাবে না, বলেন তিনি৷

Arafat Mausoleum in Ramallah
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনিরা ইয়াসির আরাফাতকে সবসময়ই একজন মুক্তিযোদ্ধা মনে করেছেন৷ অন্যদিকে, ইসরায়েল প্রথমে তাঁকে সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করেছে এবং শেষের দিকে শান্তি সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করেছে৷ তিনি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে দীর্ঘ সময় সংগ্রাম করেছেন৷ কখনো সহিংস পথে, কখনো শান্তিপূর্ণভাবে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে এগিয়ে গেছেন আরাফাত৷ ২০০৪ সালে ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে ৭৫ বছর বয়সে স্বল্পস্থায়ী, রহস্যময় রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি৷

সেসময় স্ত্রীর অনুরোধের কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আরাফাতকে কবর দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁর চিকিৎসকরা তখনই জানিয়েছিলেন, আরাফাতের মৃত্যুর কারণ সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি৷

এআই/এসবি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য