1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

সংসদে অভিসংশনের মাধ্যমে অপসারিত প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ রবিবারই কিয়েভ ছাড়েন৷ অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন ওলেকসান্ডার তুর্চিনভ৷ ইউক্রেনে নতুন নির্বাচন হবে আগামী ২৫শে মে৷

https://p.dw.com/p/1BEKZ
Ukraine Viktor Janukowitsch Porträt ARCHIV
ছবি: picture-alliance/dpa

গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ অবশেষে স্তিমিত হয়েছে৷ ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পর, সংসদে প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে অভিসংশন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়৷ প্রস্তাবটি পাশ হলে ইয়ানুকোভিচ রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে দেশের পূর্বাঞ্চলের দিকে চলে যান৷ সেখান থেকে তিনি দেশ ত্যাগের চেষ্টা করেছিলেন বলেও বার্তাসংস্থাগুলো জানিয়েছে৷ তবে সীমান্তরক্ষীদের বাধার মুখে তাঁর সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ-র দেয়া খবর অনুযায়ী, ইউক্রেন পুলিশ সদ্য ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে৷

এদিকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন ওলেকসান্ডার তুর্চিনভ৷ তবে সরকার গঠনের আগেই দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনেরও উদ্যোগ নিতে হচ্ছে৷ দীর্ঘ রাজনৈতিক সংকটের কারণে দেখা দেওয়া অর্থনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার উপায় খুঁজতে সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসেছে৷ ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে৷ ইইউ-র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন সোমবার ইউক্রেন সফরে আসছেন৷ তাঁর এ সফরের উদ্দেশ্যও, পূর্ব ইউরোপের সংকটপূর্ণ দেশটিকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা৷

রবিবার ইউক্রনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট তুর্চিনভ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন৷ এ সময় ম্যার্কেল ইউক্রেনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের আস্থাভাজন এবং আঞ্চলিক সুসম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম সরকার গঠনের ওপর জোর দেন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি অথবা রাশিয়ার নেতৃত্বে শুল্ক ইউনিয়ন – এই দুই বিকল্পের মধ্যে রাশিয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে গত নভেম্বরে সংকটে পড়েছিল ইউক্রেন সরকার৷ সরকারের এ সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা৷ লাগাতার বিক্ষৈাভের মুখে একে একে ভেঙে পড়ে সরকারের সব প্রতিরোধ৷ বিক্ষোভ থামাতে গত সপ্তাহে ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কয়ারে হামলা চালায় পুলিশ৷ হামলায় এ পর্যন্ত ৮০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য