1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামি জঙ্গিবাদের মোকাবিলা

৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ইরাকে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে আইসিস বা ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী সিরিয়ায় তাদের পেশিশক্তি দেখাতে শুরু করেছে৷ এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত আঞ্চলিক জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত উদ্যোগের ডাক দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1D6Hw
Irak Kampf gegen IS
ছবি: REUTERS

ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও আফগানিস্তানের মতো দেশে ইসলামি জঙ্গিবাদ যেভাবে গোটা অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে, তার বিরুদ্ধে সম্মিলিত উদ্যোগের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত৷ তাদের মতে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে আইসিস ও আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীর মোকাবিলা করার প্রয়োজন রয়েছে৷ ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের পর্যবেক্ষক হিসেবে দেশটি এই মর্মে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে৷ মার্কিন প্রশাসনও ইসলামি জঙ্গিবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যে এক আন্তর্জাতিক অভিযানের প্রয়োজনিয়তার কথা বলেছে৷ উদ্দেশ্য, জঙ্গিদের অর্থায়ন, নতুন সদস্য ভর্তি করার মতো কার্যকলাপ বন্ধ করা৷ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচারণা বন্ধ ও জঙ্গিদের শনাক্ত করার উদ্যোগও শুরু হয়ে গেছে৷

কিন্তু আইসিস-এর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সাফল্যের ভিত্তি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়৷ সিরিয়া ও ইরাকে সুন্নি গোষ্ঠী বহুকাল কোণঠাসা হয়ে রয়েছে৷ সেখান থেকেই জঙ্গিদের প্রতি সমর্থন আসছে৷ যেমন সিরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলে মরু এলাকায় রাকা প্রদেশে আইসিস জঙ্গিরা কার্যত এক নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে৷ শুধু গণ হারে নৃশংস শাস্তি বা জোর করে মানুষের উপর তাদের নিয়ম চাপানো নয়, নাগরিক পরিষেবার মতো প্রশাসনিক কাজকর্মও চালাচ্ছে তারা৷ পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ, সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার মতো ‘দায়িত্বশীল' আচরণের খবরও আসছে সেখান থেকে৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিজেদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে তারা৷

অর্থাৎ জনজীবনের কোনো অংশই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়৷ নাগরিকদের একটা বড় অংশ এমন প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছে৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন৷ এমনকি আইসিস-বিরোধীরাও স্বীকার করেছেন, যে আবু বকর আল-বাগদাদির নেতৃত্বে জঙ্গিরা ওই এলাকা দখল করে এক বছরেরও কম সময় এক আধুনিক দক্ষ প্রশাসন কায়েম করেছে৷ তবে সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে নেতার কাছ থেকেই৷

শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে বাশার আল-আসাদ সরকারের কর্মীদের সঙ্গেও সহযোগিতার পথেও যাচ্ছে তারা৷ অনেক সুন্নি সরকারি কর্মী জঙ্গিদের প্রশাসনেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ উত্তর আফ্রিকা ও ইউরোপ থেকেও বিশেষজ্ঞদের এনে কাজে লাগাচ্ছে তারা৷ অর্থাৎ শুধু জঙ্গি গোষ্ঠী নয় – বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে তাদের ভাবধারা অনুযায়ী এক ইসলামি রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে তারা অটল রয়েছে বলে মনে করেন রয়টার্সের সেই সাংবাদিক৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য