1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের কারণে চাঙ্গা পুঁজিবাজার

২৭ নভেম্বর ২০১৩

পেট্রোলিয়াম ও অবকাঠামো থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে ইরান থেকে কোটি কোটি ডলার মূল্যের অর্ডারের আশা করছে ইউরোপীয় সংস্থাগুলি৷ এদিকে বাজেট ঘাটতির রাশ টেনে ধরতে অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে ইউরোগ্রুপ৷

https://p.dw.com/p/1AOrx
A man uses his cell phone in front of chart with the stock prices at the Greek Stock Exchange in Athens, Tuesday, Oct. 4. 2011. The Athens stock index closed negative 6,28 percent, as it dropped as low as minus 7.1 percent by late afternoon while the main Europe markets fell more than 3 percent. The turmoil endangered French-Belgian bank Dexia, whose shares plunged as much as 40 percent, on worries about its exposure to Greek bonds. (AP Photo/Thanassis Stavrakis) // Eingestellt von wa
ছবি: AP

সোমবার ইউরোপ সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পুঁজিবাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল৷ গত ৫ বছরে এমন মাত্রা দেখা যায়নি৷ ডলারের বিনিময় মূল্যও বেড়ে গিয়েছিল৷ এর প্রধান কারণ সপ্তাহান্তে জেনিভায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল৷ কারণ এবার ইরানের সঙ্গে পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য বাণিজ্য শুরু হতে পারে৷ তবে এই উচ্ছ্বাস কতদিন স্থায়ী হবে, তা বলা কঠিন৷ কারণ আপাতত ৬ মাসের জন্য সে দেশের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে মাত্র৷ ইরানের সঙ্গে চূড়ান্ত বোঝাপড়া আদৌ সম্ভব হবে কিনা, বা হলে কবে হবে – তা বলা যাচ্ছে না৷ এমনটা হলে কোটি কোটি ডলার মূল্যের বাণিজ্য সম্ভব হবে৷ ইউরোপের অনেক সংস্থা উপকৃত হবে৷

এদিকে ইউরোপ নিজের ঘর সামলাতেও কিছু কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ ইউরো এলাকায় বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক অভিনব প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে৷ এর আওতায় প্রতি বছর অক্টোবর মাসের মধ্যে সদস্য দেশগুলিকে পরের বছরের খসড়া বাজেট ইউরোপীয় কমিশনে পাঠাতে হবে৷ গোলমাল চোখে পড়লে কমিশন তা সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠাতে পারবে৷ এ বছর অবশ্য নিয়ম শিথিল করে অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ এই প্রথম তাঁরা যে যার দেশের ২০১৪ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের খসড়া একে অপরকে দেখিয়েছেন৷ উদ্দেশ্য, আগেভাগেই ঘাটতি এড়ানো এবং সংকটের আশঙ্কা দূর করা৷ সেই আলোচনায় ইটালি, স্পেন, ফিনল্যান্ড ও মাল্টাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে৷ একমাত্র জার্মানি ও এস্টোনিয়া বাজেট ঘাটতি সংক্রান্ত নিয়ম পুরোপুরি মেনে চলছে৷ তবে যে চারটি দেশ বেলআউট কর্মসূচির আওতায় রয়েছে, তারা আপাতত এই প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে৷ ইউরোগ্রুপ-এর প্রধান ইয়েরুন ডাইসেলব্লুম বলেন, আলোচনার পরিবেশ বেশ ভালো ছিল৷ সবাই খোলা মনে ঝুঁকির আশঙ্কা নিয়ে কথা বলেছেন৷

এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, সংকটগ্রস্ত দেশগুলি বাজেট ঘাটতি সামলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগোতে পারবে কিনা৷ ইটালি ও স্পেন ইউরো এলাকার যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি৷ চাপে পড়ে এই দুই দেশই অনেক অপ্রিয় সংস্কারের পদক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাতে প্রাথমিক সুফলও দেখা যাচ্ছে৷ কিন্তু তাদের ঋণভার এত বেশি, যে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও কিছুটা সময় লাগবে৷ বাজেট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও প্রবৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে যাচ্ছে৷ বিশেষ করে ফ্রান্স দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য আনার পক্ষে জোরালো সওয়াল করছে৷ ২০১৪ সালে ইউরো এলাকার পরিস্থিতি অনেক বেশি স্থিতিশীল হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য