1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি

১৮ অক্টোবর ২০১৩

ইরানের ‘নরমপন্থি' প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি ক্ষমতায় আসার পর সে দেশের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে আবার আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ ইরানের আশা, এর ফলে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে৷

https://p.dw.com/p/1A20p
Hassan Rouhani *** Local Caption *** (News-Item): Iran's New President Hassan Rouhani is seen here at the United Nations as he's greeted by the United Nations Secretary General Ban Ki-Moon. Rouhani stated that he had a phone conversation with US President Obama and that a meeting could be happening any day during his stay in New York. He also assured us that Iran is not contemplating any nuclear proliferation program to develop Uranium for any bellic purposes. Photo via Newscom picture alliance
ছবি: picture alliance/Newscom

ইরানে প্রেসিডেন্ট পদে পালাবদল ঠিক বাকি দেশের সঙ্গে তুলনীয় নয়৷ কারণ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বড়ই সীমিত৷ সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই-র সম্মতি ছাড়া কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না৷ প্রভাবশালী রিপাবলিকান গার্ডস বাহিনী সরাসরি তাঁরই অধীনে রয়েছে৷ ‘মজলিস' বা সংসদেরও পৃথক ভূমিকা রয়েছে৷ অতএব নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি তাঁর পূর্বসূরি মাহমুদ আহমদিনেজাদের তুলনায় অনেক নরম সুরে কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে তিনি কতটা পরিবর্তন আনতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ এখনো কাটে নি৷ জেনিভায় ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার দিকে তাই সবার বিশেষ নজর ছিল৷ আগামী ৭ ও ৮ই নভেম্বর দ্বিতীয় দফার আলোচনায় চূড়ান্ত বোঝাপড়া হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না৷

ইরানের নেতৃত্বের এই আচমকা বোধোদয়ের কারণ অবশ্যই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রবল চাপ, যার ফলে দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা৷ অতএব সে দেশ যে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না, তার অকাট্য প্রমাণ দিতে হবে৷ এমন সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে হবে, যাতে ইরান পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে, অন্যদিকে বাকি বিশ্বের সন্দেহও দূর হতে পারে৷ রোহানি প্রশাসনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় সেই পথেরই খোঁজ চলছে৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানি চায়, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণের মাত্রা কমিয়ে তার সদিচ্ছা দেখাক৷ ২০ শতাংশ ফিসাইল পিউরিটি থাকলে অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব৷ ফলে ইরানকে এই কাজ বন্ধ করতে হবে৷ জেনিভায় আলোচনা থেকে খুব বেশি খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশিত না হওয়ায় পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, যে নেপথ্যে কিছু অগ্রগতি ঘটছে৷

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই এখনো পর্যন্ত রোহানি-র নীতির প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন দিয়ে এসেছেন৷ অ্যামেরিকার প্রতি সামান্য ছাড়ও ইরানে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে৷ রিপাবলিকান গার্ডস বাহিনীর কণ্ঠেও সমালোচনার সুর শোনা গেছে৷ তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ তাদের হাতেই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের একটা বড় অংশ পরিচালিত হয়৷

আগামী পর্যায়ের আলোচনায় ইরান কোনো বোঝাপড়ায় রাজি হলে এবং সেই বোঝাপড়া কার্যক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা সম্ভব হলে তখনই এতকালের সন্দেহের বোঝা কিছুটা কমবে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকেরা৷ তবে রোহানির অবস্থান যাতে এখনই দুর্বল না হয়ে পড়ে, সে দিকেও নজর রাখছে আন্তর্জাতিক মহল৷

এসবি / জেডএইচ (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য