ইরাকে বিক্ষোভ
৫ জানুয়ারি ২০১৩ইরাকের মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত৷ আর ৩৫ ভাগ হলো সুন্নি৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেন সুন্নি সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন৷ ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন অভিযানে সাদ্দামের পতন এবং তার তিন বছর পর সাদ্দামের ফাঁসি হলে ক্ষমতায় আসেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি, যিনি শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত৷
বেশ কয়েকদিন ধরেই সুন্নিরা মালিকির বিরুদ্ধে তাদেরকে কোণঠাসা করার অভিযোগ আনছিল৷ সম্প্রতি সেটা আরও বেড়েছে৷ গত দুই সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার সুন্নি মালিকির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে৷ এ সময় তারা মহাসড়ক অবরোধও করেছে৷
সুন্নিদের এই চলমান বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সাদ্দাম আমলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইজ্জত ইব্রাহিম আল-দুরি৷ ২০০৬ সালে সাদ্দামের ফাঁসির পর বাথ পার্টির দায়িত্ব নেন আল-দুরি৷ ২০০৩ সালে মার্কিন অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র যে ৫৫ জন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ইরাকির তালিকা তৈরি করে তাতে আল-দুরির অবস্থান ছিল ছয় নম্বরে৷ তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেয়ার কথাও ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র৷
সেই আল-দুরি এক ভিডিও বার্তায় সুন্নিদেরকে মালিকির পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন৷ আল আরাবিয়া টেলিভিশনে প্রচারিত ঐ ভিডিওতে আল-দুরির আশেপাশে সামরিক পোশাক পরিহিত কয়েকজনকে দেখা গেছে৷ ইরাকের বাবিল প্রদেশে তিনি রয়েছেন বলেও জানান আল-দুরি৷
তবে ভিডিওটি সত্য কীনা তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি৷
ভিডিও বার্তায় আল-দুরি বলেন, মালিকির সরকার ইরাকে ‘সাফাবিদ' আমল ফিরিয়ে আনতে চায়৷ উল্লেখ্য, সাফাবিদ আমল হচ্ছে সেই সময় যখন ইরানের শিয়া শাসকরা ইরাকেরও একটা অংশ শাসন করেছিল৷ সময়টা ছিল ১৬ থেকে ১৮ শতকের মধ্যে৷
ইরাককে যারা সাফাবিদ আমলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেন আল-দুরি৷ তিনি বলেন, এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত সাধারণ মানুষ ও সেনাদের শাস্তি দিতে একটা কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা করছে তাঁর বাথ পার্টি৷
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বধীন বাহিনী ইরাক দখলের পর থেকে সেখানে বাথ পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷
জেডএইচ / এআই (রয়টার্স, এএফপি)