1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামি দলের ভাবমূর্তিতে ধস

২২ ডিসেম্বর ২০১৩

হোটেল কক্ষে যৌনকর্ম, অর্থ জালিয়াতি এবং ঘুস কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে একটি ইসলামি দল৷

https://p.dw.com/p/1AeT3
ছবি: Reuters/Edgar Su

আগামী বছরের নির্বাচনে এসব ঘটনা দলটির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়ার রাজনীতিবিদদের বরাবরই বেশ রক্ষণশীল বলে ধরা হয়৷ কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনায় দেশটির বৃহত্তম ইসলামি পার্টির ভাবমূর্তি ধসে পড়েছে৷

‘প্রোসপারাস জাস্টিস পার্টি' বা পিকেএস নামে ঐ দলটির সাবেক সভাপতি লুথফি হাসান ইসহাককে গত সপ্তাহে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেয় সেদেশের দুর্নীতি বিরোধী আদালত৷ ঘুস নেয়া এবং অর্থ জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি৷ এর ফলে পুরো দেশে ইসলামিক দলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়৷

তদন্তের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করে যাতে পুরো দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার জোগাড়৷ ইসহাকের কাছে থাকা ৬টি গাড়ি জব্দ করা হয়৷ ৫২ বছর বয়সি এই নেতা এরই মধ্যে চারটি বিয়ে করেছেন৷ সবশেষ গত বছর এক কিশোরীকে বিয়ে করেন, যার কথা তাঁর অন্য তিন স্ত্রী জানতেন না৷

Luthfi Hasan Ishaaq PKS
লুথফি হাসান ইসহাকছবি: Robert/AFP/Getty Images

গত মাসে জার্কাতার একটি হোটেলে পুলিশি অভিযানে লুথফির অন্যতম সহযোগী আহমাদ ফাতানাহকে এক কলেজ ছাত্রীর সাথে নগ্ন অবস্থায় আটক করা হয়৷ অর্থের বিনিময়ে ঐ মেয়েকে যৌনকর্মে রাজি করানো হয়েছিল বলে মেয়েটি পরে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়৷ এমনকি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য একটি পত্রিকার মডেলসহ ৪৫ জন নারী তারকাকে গাড়ি, হীরাসহ নানা উপহার দিয়েছেন ফাতানাহ – এমন খবরও জানতে পারে তদন্ত সংস্থা৷ অনৈতিক কাজ ও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে নভেম্বরেই ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷

ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক পিকেএস থেকে এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন ইসহাক৷ তবে এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি আবেদন করবেন বলে জানিয়েছিলেন৷ অন্যদিকে, পিকেএস এই ঘটনাকে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে আসছে৷

জাকার্তা'র ‘গ্লোব' পত্রিকা সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, পিকেএসকে যারা সমর্থন করছে তাদের নৈতিকতা বোধ এবং মতামতের স্বাধীনতা নেই৷ জরিপ সংস্থা ‘লেমবাগা সার্ভেই ন্যাশনাল' বা এলএসএন এর এক কর্মকর্তা উমর এস বাকরি মনে করেন, এইসব ঘটনায় সব ইসলামিক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে৷

সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, পিকেএস এর সমর্থন মাত্র ৮ ভাগ এবং তাদের বিরুদ্ধে মানুষের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে৷ এলএসএন এর করা এক জরিপে ৪২.৮ ভাগ মানুষ বলেছেন, পিকেএস এর জনপ্রিয়তায় ধস নামবে এবং মাত্র ২১.৬ ভাগ মনে করেন, তাঁরা আগের চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হবে৷

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভির্সিটির ইন্দোনেশিয়া বিশেষজ্ঞ গ্রেগ ফিলি জানান, কয়েক বছর আগেও একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম ইসলামিক দলগুলোকেই ভোট দিত, কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন৷

এপিবি/জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য