ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনে বুথ ফেরত জরিপে এগিয়ে ইয়োধোইনো
৮ জুলাই ২০০৯তবে জরিপ বলছে, এই পর্বে বড় ব্যবধানেই জিততে চলেছেন বর্তামান প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইউধোয়োনো৷
দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার নিশ্চয়তা একরকম পেয়েই গেছেন সুসিলো বামবাং ইউধোয়োনো৷ বেসরকারী জরিপে প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক ভোটে এগিয়ে আছেন সাবেক এই সেনানায়ক৷
মেট্রো টিভি আর তিনটি সার্ভে ইন্সটিটিউটের জরিপেই প্রায় ৬০ ভাগ ভোট পেয়েছেন তিনি৷ অন্যদিকে তাঁর প্রতিপক্ষ সাবেক প্রেসিডেন্ট মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউসুফ কাল্লা পেয়েছেন যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৬ এবং ১২ দশমিক ৬ ভাগ করে ভোট৷ এত বড় ব্যবধানে জিতলে ইউধোয়োনোর আর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে না৷
বুধবার কোনো গোলযোগ ছাড়া ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তিনি বলেন, ‘ আমার মতে দেশে এক ধরণের কৃত্রিম গণতন্ত্র চলছে৷ প্রকৃত গণতন্ত্রে কোনো জালিয়াতি থাকতে পারেনা৷ মঙ্গলবার পর্যন্ত আমি খবর পেয়েছি, কমপক্ষে ১ কোটি মানুষ এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেননা, উধাও হয়ে গেছে ৬৮ হাজার ভোট কেন্দ্র৷ গণতন্ত্রে এটা কী করে সম্ভব?’
২০০৪ সালে প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ইউধোয়োনো অবশ্য ভোটের আগের জরিপেও এগিয়ে ছিলেন৷ তবে সুকর্ণপুত্রী এবং কাল্লা অসম্পূর্ণ ভোটার তালিকার জন্য নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আগাম প্রশ্ন তুলেছিলেন৷ নির্বাচন কমিশন তখন জানিয়ে দেয়, সঠিক পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকলে প্রকৃত ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন৷
এদিকে বিরোধীরা নির্বাচনের সমালোচনা করলেও জরিপে অনুকূল ফলাফলের ইঙ্গিত দেখে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউধোয়োনো ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, তবে সঙ্গে এ-ও বলেছেন, জরিপে এগিয়ে থাকলেও তারা নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় থাকবেন৷ চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে আগামী ২৫ শে জুলাই৷
এমনিতে বুধবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে৷ ২৩ কোটি মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় মোট ভোটার এখন ১৭ কোটি ৬০ লাখের মতো৷ এর মধ্যে কতজন এবারের ভোটে অংশ নিয়েছেন সে হিসেবটা এখনো জানা যায়নি৷
প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী, সম্পাদনা: আবদুল সাত্তার