1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের নতুন গেমিং ক্যাপিটাল: বার্লিন

ডোরোটেয়া টফ/এসি২১ জুন ২০১৪

জার্মানির রাজধানী বার্লিন যেন সবার অজান্তেই গেম ডেভেলপারদের স্বর্গ হয়ে উঠছে৷ গোটা ইউরোপ থেকে তো বটেই, এমনকি সুদূর অ্যামেরিকা থেকেও গেমিং কোম্পানিগুলি বার্লিনে এসে শাখা খুলছে৷

https://p.dw.com/p/1CM2A
ছবি: Hoang Dinh Nam/AFP/Getty Images

তার একটি কারণ: ইউরোপের বাজার৷ দ্বিতীয় কারণ: বার্লিন একটি তরুণ, সজীব প্রাণবন্ত শহর, যা এই নতুন শিল্পের নতুন প্রতিভাদের টানে৷ তৃতীয়ত: বার্লিনে বাড়ি ভাড়াটাও কম!

পোল্যান্ড থেকে আগত গেম ডেভেলপাররা তাঁদের সর্বাধুনিক অনলাইন ও স্মার্টফোন গেমগুলি দেখাচ্ছেন বার্লিনে৷ এখানে তাঁরা পাচ্ছেন একটি আন্তর্জাতিক গ্রাহকমণ্ডলী৷ এটিগেমস-এর সংগ্রহে রয়েছে একটি ডিটেকটিভ গেম, যা জার্মানিতেও গ্রাহকদের মনোরঞ্জন করতে পারবে বলে কোম্পানির সিইও-র ধারণা৷ বার্টিওমিয়েই রজবিৎস্কি বললেন: ‘‘এটা একটা বেশ বড় মার্কেট৷ বহু লোকের মোবাইল ডিভাইস আছে, বহু লোক খেলছে৷ আমি অনেক তরুণ-তরুণীদের দেখেছি, যারা গেম খেলতে ভালোবাসে৷''

‘গেম ডেভেলপার’-দের স্বর্গ

ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ক্যাবাম গেমস

বড় বড় গেম নির্মাতারাও বার্লিন পৌঁছে গেছেন৷ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এসেছে ক্যাবাম গেমস৷ বার্লিনে তাদের অফিসটি নতুন চকচকে৷ সদ্য এই অফিস খোলা হয়েছে৷ ৮০ জন কর্মী এখানে কাজ করেন৷ ক্যাবাম কোম্পানি এখান থেকে সারা ইউরোপে তাদের ফ্যান্টাসি গেমগুলো বিক্রি করে৷ ক্যাবাম-এর কর্পোরেট কমিউনিকেশনস-এর দায়িত্বে আছেন স্টিভ সোয়াজি৷ স্টিভ বলেন, ‘‘এটা হলো আমাদের স্ট্যান্ড-আপ মিটিং, অর্থাৎ দাঁড়িয়ে থেকে মিটিং, যা কিনা ক্যাবামের কর্মসংস্কৃতির অঙ্গ৷ আমরা পাঁচ-সাত মিনিট ধরে জড়ো হই, সবাই দাঁড়িয়ে থাকি৷ কেননা তাতে সময় বাঁচে৷ কেউ ল্যাপটপ নিয়ে বসে না; কেউ অমনোযোগী হয় না; দিনে দু'বার করে এ ধরনের চেক-ইন হয় – শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে৷ এটা কোনো নীতি সংক্রান্ত মিটিং নয়৷ বরং এটা একটা কৌশল সংক্রান্ত মিটিং যেখানে কর্মীরা জানান, আগামী তিন ঘণ্টায় তাঁরা কী করতে চলেছেন৷''

ইউরোপের বাজারের জন্য গেমগুলির ভাষা বদলে দিতে হয়৷ সারা বিশ্বে ক্যাবাম-এর বিক্রির ৪০ শতাংশ আসে এই ইউরোপ থেকে, গত বছর যার পরিমাণ ছিল ২৬ কোটি ইউরো৷ স্টিভ বলেন, ‘‘ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং, কেননা আমাদের কিছু গেম যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইউরোপেই বেশি বিক্রি হয়৷ যেমন আমাদের ‘ড্র্যাগন্স অফ অ্যাটলান্টিস' বলে একটা ফ্যান্টাসি গেম আছে – এই তো, এখানেই – এই খুদে ড্র্যাগনটি বড় হয়ে বাকি সকলকে রক্ষা করবে৷ এই গেমটি ফ্রান্সে যতটা জনপ্রিয়, অ্যামেরিকাতে ততটা নয়৷''

ক্রিয়েটিভ ইন্টারঅ্যাকশন

বার্লিনে গেম শিল্প এখন জমজমাট৷ আবার ওটা একটা চুম্বকও বটে৷ দু'শোর বেশি গেম তৈরির কোম্পানি আজ বার্লিনে কাজ করছে৷ তাদের টানে আরো বেশি গেম ডেভেলপার বার্লিনে আসছেন৷ রজবিৎস্কি-র ভাষ্যে, ‘‘গেমিং বিজনেসটা হলো ক্রিয়েটিভ, সৃজনশীল৷ যাঁরা গেম খেলেন, তাঁরা যে অন্যদের চেয়ে বেশি সৃজনশীল, এটা তো সবাই জানে৷ আমার কাছে সেটাই আসল কারণ: মানুষজন ইন্টারঅ্যাক্ট করতে ভালোবাসেন৷''

বার্লিনের আকর্ষণ হলো, ভালো প্রশিক্ষণ পাওয়া কর্মীর এখানে কোনো অভাব নেই৷ অন্যদিকে বাড়িভাড়াও কম৷ মিডিয়ানেট বার্লিনব্রান্ডেনবুর্গ কোম্পানির পরিচালক আন্ড্রেয়া পেটার্স বলেন,‘‘সত্যিই খুব বেশি করে গেমিং কোম্পানি আসছে৷ বর্তমানে এটা একটা যোগাযোগ৷ স্বভাবতই আমাদের বার্লিন শহর মিউনিখ, কোলোন, হামবুর্গ বা বার্সেলোনার তুলনায় সস্তা৷ যদিও সেটাও বদলে যাচ্ছে৷ বস্তুত এটা বার্লিনের পরিবেশের দরুণও বটে: এখানকার খোলামেলা সমাজ প্রতিভাবান তরুণ-তরুণীদের টানে৷''

সেই সব তরুণ প্রতিভাদের নিয়ে এখন কোম্পানিগুলির মধ্যে টানাপড়েন৷ অন্যান্য শাখায় যখন ব্যয়সংকোচের তাড়না, তখন গেমিং শিল্পে পার্কস-এর কোনো অভাব নেই৷ কাবাম-এর স্টিভ সোয়াজি বলেন, ‘‘বার্লিনকে দেখে আমাদের বছর বিশেক আগের সিলিকন ভ্যালির কথা মনে পড়ে যায়৷ বার্লিন একটা তরুণ, প্রাণবন্ত শহর৷ আবার টেক-স্যাভিও বটে, প্রযুক্তির খোঁজখবর রাখে৷ বার্লিনের লোকেরা প্রযুক্তি বোঝে, প্রযুক্তি ভালোবাসে৷ প্রযুক্তি তাদের জীবনের অঙ্গ৷ এছাড়া বার্লিন একটা আন্তর্জাতিক শহর: নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতির মানুষেরা স্বাভাবিকভাবেই সারা বিশ্ব, গোটা ইউরোপ থেকে এখানে আসেন৷''

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য