1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপেও ব্যাপক ভ্রুণহত্যা!

ক্লাউডিয়া হেনেন/এসিবি১৩ জানুয়ারি ২০১৩

সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয়, যেসব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল, শিক্ষার হার কম, লিঙ্গবৈষম্য সেসব দেশেই বেশি৷ এ ধারণা অনেকটাই ঠিক হতে পারে, তবে পুরোপুরি নয়৷ তাহলে কি ইউরোপেও কন্যাশিশু জন্মের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমতো?

https://p.dw.com/p/17J0O
A pregnant Albanian woman watches her baby in the monitor as a doctor performs a sonogram in Tirana on November 9, 2011. In Albania, abortion was legalised on the eve of the Communist regime's fall in the 1990s. Since then, it has become almost a favourite method to chose the sex of its child, several local rights groups warn. According to a law adopted in April 2002, sex-selective abortion is forbidden, but there are no specific sanctions for breaching the law, experts say. AFP PHOTO / GENT SHKULLAKU (Photo credit should read GENT SHKULLAKU/AFP/Getty Images)
ছবি: Gent Shkullaku/AFP/Getty Images

আলবেনিয়ায় ১১২ জন ছেলে জন্ম নিলে মেয়ে জন্ম নেয় ১০০ জন৷ কসভো আর মন্টেনেগ্রোয় অবস্থা একটু ভালো৷ সেখানে গড়ে ১০০ জন মেয়ের পাশাপাশি জন্ম নিচ্ছে যথাক্রমে ১১০ ও ১০৯ জন ছেলে৷ সমাজে মেয়ের সংখ্যা এ হারে কমতে থাকলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে এ নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে অনেকদিন ধরে৷ তবে ইউরোপীয় সংসদীয় পরিষদ পিএসিই বা পেস-এ সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধি ডোরিস স্টাম্প তুলে ধরেছেন নতুন একটা সমস্যার কথা৷ তাঁর মতে, সমাজে মেয়ের সংখ্যা কমলে পতিতাবৃত্তি বাড়বে, বাড়বে মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেয়া এবং আত্মহত্যার ঘটনা৷ শেষ দুটি সমস্যা কিভাবে দেখা দিচ্ছে তা একটু বেশি ব্যাখ্যার দাবি রাখলেও প্রথমটির ব্যাখ্যা খুব সহজ-সরল৷ মেয়ে কমে গেলে ছেলেদের যৌনক্ষুধা মেটানোর সুযোগ কমে আসে৷ এমন পরিস্থিতিতে দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা জীবিকা নির্বাহ করতে বেছে নেয় পতিতাবৃত্তি৷ কোথাও মেয়েরা পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধেও চলে আসে এই পথে৷

EU-Abgeordnete Franziska Brantner. Copyright: Europäisches Parlament
জার্মানির সবুজ দলের প্রতিনিধি ফ্রান্সিসকা ব্রান্টনারছবি: Europäisches Parlament

কিন্তু এসব কথা তো এশিয়া বা আফ্রিকার কিছু উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশের বেলায় প্রযোজ্য৷ ইউরোপেও কেন এই চিত্র? ইউরোপীয় সংসদে জার্মানির সবুজ দলের প্রতিনিধি ফ্রান্সিসকা ব্রান্টনার যা বললেন তাতে ইউরোপের ওই দেশগুলোর সঙ্গে এশিয়া বা আফ্রিকার দেশগুলোর খুব বেশি পার্থক্য নেই৷ তাঁর মতে, ইউরোপের কিছু দেশে কন্যাশিশুর জন্মহার কমছে মূলত দারিদ্র্য, সাধারণ মানুষের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কম আগ্রহ এবং কুসংস্কারের কারণে৷ আলবেনিয়া, কসোভো এবং মন্টেনেগ্রোর মতো কিছু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যে ভালো নয় এটা সবারই জানা৷ ফ্রান্সিসকা ব্রান্টনারের কথায় বেরিয়ে এসেছে আরেকটা সত্য- ওসব দেশেও অনেক মানুষই মনে করে ছেলেই জ্বালিয়ে রাখবে বংশের প্রদীপ৷ সেই প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা নিশ্চিত করতে মায়ের পেটে কণ্যা সন্তান এসেছে জানা মাত্রই নেয়া হয় গর্ভপাতের ব্যবস্থা৷ ‘আল্ট্রাসাউন্ড'-এর সুবিধা নিয়ে মেয়েভ্রুণ চিহ্নিত করে এই কর্মটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, কোরিয়ার মতো করে ইউরোপের কিছু দেশেও তাই হরদম চলছে ভ্রুণ হত্যা৷

Three Albanian kids sit on the top of a communist era statue to whatch the convoy carrying Former Albanian President Sali Berisha(not in picture) in Tirana, Albania, on Tuesday 12 July 2005. Albania risked another election fiasco with Socialist Prime Minister Fatos Nano refusing to concede what the country's election commission said was a clear victory for rival Sali Berisha. Last week's vote was seen as an opportunity for formerly communist Albania to prove it now has the political maturity needed to join the European Union and NATO. EPA/ARMANDO BABANI +++(c) dpa - Report+++
আলবেনিয়ায় ১১২ জন ছেলে জন্ম নিলে মেয়ে জন্ম নেয় ১০০ জনছবি: picture-alliance/dpa

তবে সচেতনতা বাড়ালে সুফল পাওয়া যায় এ শিক্ষা কিন্তু এখন এশিয়ার একটি দেশের কাছ থেকেই নিতে হবে ইউরোপকে৷ দক্ষিণ কোরিয়ায় একসময় ছেলে আর মেয়ের জন্মের অনুপাত ছিল ১১৫ অনুপাত ১০০৷ সেখান থেকে অনুপাতটা এখন দাঁড়িয়েছে ১০৭ এবং ১০০!

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য