1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির সক্রিয় ভূমিকা

১৯ আগস্ট ২০১৪

ক’দিন আগের ঘটনা৷ রবিবার বার্লিনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে রাশিয়া, ইউক্রেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অস্ত্রবিরতি নিয়ে বিরোধের মীমাংসা করতে না পারলেও, রুশ ত্রাণ সাহায্য নিয়ে শেষ পর্যন্ত ঐকমত্যে আসতে পেরেছেন৷

https://p.dw.com/p/1CwV1
Deutschland Russland Krisentreffen in Berlin Steinmeier
ছবি: Reuters

ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগে জার্মানি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এ বিষয়ে আলোচনা করতে শীঘ্র কিয়েভ সফর করতে পারেন৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেংকো ম্যার্কেল-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ তবে ম্যার্কেল এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি৷ রবিবার বার্লিনে রাশিয়া, ইউক্রেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে প্রায় ৫ ঘণ্টার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷

বার্লিনে আলোচনার পর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধান অবশ্যই সম্ভব৷ কিন্তু তার জন্য ইউক্রেনের সরকারকে দেশের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে৷ তাঁর মতে, কিয়েভ যতদিন বল প্রয়োগ করে একটা সমাধানসূত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে, ততদিন সাফল্য আসবে না৷ আন্তর্জাতিক উদ্যোগেরও কোনো ফল হবে না৷ অস্ত্রবিরতির পূর্বশর্ত হিসেবে ইউক্রেনীয় সরকার অস্পষ্ট দাবি করে চলেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন৷

সোমবারও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে৷ শরণার্থীদের এক গাড়ি বহরের উপর রকেট হামলা চালানো হয়েছে৷ ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ও রুশপন্থি বিদ্রোহীরা একে অপরকে এ জন্য দায়ী করছে৷ হামলায় অনির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

রবিবারের বৈঠকে অস্ত্রবিরতি নিয়ে কোনো ঐকমত্য সম্ভব না হলেও রাশিয়ার মানবিক সাহায্য নিয়ে অচলাবস্থা দূর করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে৷ রাশিয়ার দাবি, বার্লিন বৈঠকে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে৷ ইউক্রেন জানিয়েছে, একমাত্র আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের তত্ত্বাবধানে রাশিয়া থেকে পাঠানো মানবিক সাহায্য বিতরণ করতে দেওয়া হবে৷ রেড ক্রস অবশ্য বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তাদের কর্মীদের জন্য নিরাপত্তার গ্যারেন্টি চেয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রায় ২৮০টি ট্রাক বোঝাই ত্রাণসামগ্রী রুশ সীমান্তে অপেক্ষা করছে৷ লুহানস্ক এলাকায় আটকে পড়া মানুষের মধ্যে সেই ত্রাণ বিতরণ করার কথা৷ ইউক্রেনের সন্দেহ, ত্রাণের নাম করে রাশিয়া গোপনে সৈন্য বা সামরিক সরঞ্জাম পাচার করতে চায়৷

এদিকে ইউরোপ থেকে খাদ্য আমদানির উপর রাশিয়া যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে, তার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ইউরোপের অনেক কৃষক ও পশুপালক৷ তাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউরোপীয় কমিশন সাড়ে ১২ কোটি ইউরো অঙ্কের সহায়তার অঙ্গীকার করেছে৷ অনেকেই উদ্বৃত্ত শাক-সবজি, ফলমূল দান করে দিচ্ছে অথবা চাষবাস বন্ধ রেখেছে৷

এসবি / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য