1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের পাশে আছে ইউরোপ

২৪ জুন ২০১৪

ইউক্রেনের নতুন প্রেসিডেন্ট অস্ত্রবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷ হিংসা বন্ধ করে সেই পরিকল্পনা কার্যকর করার ক্ষেত্রে এবার রাশিয়ার সমর্থনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/1COUU
ইউক্রেনের নতুন প্রেসিডেন্ট অস্ত্রবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছেনছবি: AFP/Getty Images

ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংকট কাটানোর ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো দেশের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থিদের বিদ্রোহের অবসান ঘটাতে এক শান্তি পরিকল্পনা পেশ করেছেন৷ তারই রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে লুক্সেমবুর্গে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে৷ এর আওতায় আপাতত এক সপ্তাহের একতরফা যুদ্ধবিরতি শুরু করেছে ইউক্রেনের সরকার৷

ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পোরোশেঙ্কোর শান্তি পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন৷ রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তাঁদের বার্তা – সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের জন্য অস্ত্র ও যোদ্ধা পাঠানো বন্ধ করতে হবে৷ সীমান্তে রুশ সৈন্যসংখ্যাও কমাতে হবে৷ তাছাড়া রাশিয়া ইউক্রেনের অংশবিশেষ দখল করায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ক্রাইমিয়া ও সেভাস্টোপল থেকে আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ৷ উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির পাশাপাশি ইইউ-র সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগামী শুক্রবার পোরোশেঙ্কো এক চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছেন৷

Ukraine Krise
আপাতত এক সপ্তাহের একতরফা যুদ্ধবিরতি শুরু করেছে ইউক্রেনের সরকারছবি: picture-alliance/AA

শান্তিপূর্ণ পথে সংকটের সমাধানের পথে প্রধান অন্তরায় কিন্তু কাটছে না৷ পোরোশেঙ্কো ইউক্রেনের পূ্র্বাঞ্চলের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত৷ কিন্তু রুশপন্থি বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কোনো রকম সংলাপের বিরোধী তিনি৷ অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন বলেছেন, এমন অনড় মনোভাব দেখালে বিদ্রোহের অবসান ঘটানো কঠিন হবে৷ তবে সামগ্রিকভাবে তিনি পোরোশেঙ্কোর পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ পরের ধাপে ইউক্রেনের সংবিধানে পরিবর্তন ঘটিয়ে পূর্বাঞ্চলের রুশ বংশোদ্ভূত মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে তবেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন৷

বিদ্রোহী নেতারা অবশ্য পোরোশেঙ্কোর শান্তির উদ্যোগ পুরোপুরি উপেক্ষা করে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তাঁরা ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রুশ ফেডারেশনে যোগদান করতে বদ্ধপরিকর৷ বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর উপর হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো টেলিফোনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে বলেছেন, যে সপ্তাহান্তে বিদ্রোহীরা প্রায় ২০ বার সরকারি অবস্থানের উপর হামলা চালিয়েছে৷ তিনি ম্যার্কেলসহ পশ্চিমা দেশগুলির নেতাদের কাছে আরও সক্রিয় ভূমিকা দেখতে চান৷ পুটিন এই সংকট নিরসনে সক্রিয় না হলে তাঁরা রাশিয়ার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকি দিয়ে চলেছেন৷ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোরোশেঙ্কোকে জানিয়েছেন যে, তাঁর প্রশাসন জি-সেভেন দেশগুলির নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছে৷

এই সংকটের ক্ষেত্রে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের মতলব নিয়েও ধোঁয়াশা কাটছে না৷ তিনি একদিকে পোরোশেঙ্কোর সাম্প্রতিক শান্তির উদ্যোগের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন৷ অন্যদিকে মধ্য এশিয়ায় বিশাল সামরিক মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷ পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চান তিনি৷ তবে ইউক্রেনের উপর প্রভাব আর না থাকায় সে দেশের সরকারকে অস্থির অবস্থায় রাখতে আগ্রহী পুটিন৷ ইউক্রেনের দক্ষিণ পূর্বে রাশিয়ার প্রভাবও ছাড়তে নারাজ তিনি৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)