1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আহমাদিনেজাদকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন খামেনি

৪ আগস্ট ২০০৯

মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি৷ আগামী বুধবার, ইরানের সংসদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন আহমাদিনেজাদ৷

https://p.dw.com/p/J34K
ছবি: AP

গত ১২ই জুনের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী আহমাদিনেজাদকে ৬৩ শতাংশ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে ইরানের সর্বোচ্চ তত্ত্বাবধায়ক পরিষদ বা গার্ডিয়ান কাউন্সিল৷ তাই খামেনির কথায়, গত চার বছরের ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই আহমাদিনেজাদকে আবারো বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করে ইরানিরা৷

দেশটির সর্বোচ্চ এই ধর্মীয় নেতা জানান : ফলাফল আগেই জানা ছিল৷ এবার শুধু তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা৷ অর্থাৎ, দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ৷ আগামি বুধবার ইরানের সংসদে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করবেন৷ আর শপথ গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদের অনুমোদন লাভের জন্য তাঁকে মন্ত্রী সভার নাম পেশ করতে হবে৷

খামেনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইরানিদের ব্যাপক সংখ্যায় অংশগ্রহণ ইসলামী বিপ্লবের আদর্শ ও সরকারের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অবস্থানের প্রতি সমর্থনই প্রকাশ করে৷ তাই ইরানি জনগণ গত ৩০ বছরে অর্জিত সাফল্যগুলি রক্ষায় যে বদ্ধপরিকর - তা বলাই বাহুল্য৷ এছাড়া, আহমাদিনেজাদকে সাহসী, কর্মঠ ও বুদ্ধিমান হিসেবেও আখ্যায়িত করেন খামেনি৷

Weltweiter Aktionstag gegen die Regierung in Iran Deutschland
আন্দোলনের মাধ্যমে কি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবে মুসাভি সমর্থকরা?ছবি: AP

সোমবারের এই অনুমোদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷ উপস্থিত ছিলেন তেহরানে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরাও৷ কিন্তু, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত দুই প্রার্থী মীর হোসেন মুসাভি এবং মেহদি কারুবি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না৷ ছিলেন না ইরানের সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি এবং আকবর হাশেমি রাফসানজানিও৷

উল্লেখ্য, ইরানের সংবিধানের ১১০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাচনে জয় লাভের পর এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে, বিজয়ী প্রার্থীকে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন গ্রহণ করতে হয়৷ কিন্তু, গত ১২ই জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আহমাদিনেজাদ প্রায় দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেলেও, ঐ ফলাফল নিয়ে চলছিল তুমুল বিতর্ক৷ খামেনি বারংবার বিক্ষোভ-সহিংসতা বন্ধের দাবি জানালেও, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয় তেহেরানে৷ শুধু তাই নয়, হেরে যাওয়া মধ্যপন্থী প্রার্থী মীর হোসেন মুসাভি এবং মেহদি কারুবি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ করে ইরানের পরবর্তী সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু তারপরও, ইরানের কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেন৷

এদিকে, নির্বাচন বাতিল করার দাবিতে যে বিক্ষোভ হয়, তাতে আটক বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ১০০ জনের বিচার শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ তেহরানের একটি বিপ্লবী আদালত বলেছে, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় জড়িত থাকার দায়ে আটক ব্যক্তিরা আইনজীবী নিয়োগ বা অন্যান্য আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের আইনী সহযোগিতা পাবে৷ এছাড়া, পরবর্তীতেও অভিযুক্তদের জন্য এ অধিকার সংরক্ষিত থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত৷ যদিও বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার সহ পশ্চিমা বিশ্বের বহু রাজনৈতিক নেতাই প্রশ্ন তুলেছেন৷

প্রতিবেদক: দেবারতি গুহ, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম